আরও কৌতুক

 সত্যজিৎ বিশ্বাস 
১৪ নভেম্বর ২০২২, ০৫:০৮ এএম  |  অনলাইন সংস্করণ

মেয়েটি : বিয়ের পর আমাকে এখনকার মতো ভালোবাসবে?
ছেলেটি : কার বিয়ের পর? আমার না তোমার?
---
১ম বন্ধু : কী রে, মন দিয়ে এত কী লিখছিস?   
২য় বন্ধু : সমাজ বদলের উপর একটা আর্টিকেল।
১ম বন্ধু : লেখালেখি করে যা বদল করার এখনই করে নে। বিয়ের পর আর পারবি না।
২য় বন্ধু : কেন, বিয়ের পর কী সমস্যা?   
১ম বন্ধু : বিয়ের পর নিজের ইচ্ছায় একটা টিভি চ্যানেলও বদল করতে পারবি না আর সমাজ বদল!   
---
স্ত্রী : চলে যাচ্ছি তোমার সংসার থেকে। আর জীবনেও ফিরব না।
স্বামী : এটা প্রতিজ্ঞা নাকি ভয় দেখানো?
স্ত্রী : তার মানে?   
স্বামী : যা বললে, তা যদি সত্যি পালন কর, তবে এটা প্রতিজ্ঞা। আর যদি ফেরার সময় তোমার মাকে নিয়ে ফের, তাহলে সেটা ভয়ের ব্যাপারই বটে।
---
বিচারক : বিয়ে করেছিলেন কেন?
স্বামী : সুখের আশায়।   
বিচারক : তাহলে ডিভোর্স চাইছেন কেন?
স্বামী : শান্তির আশায়!   
---
১ম প্রতিবেশী : আগে তো ভাবির সঙ্গে চিৎকার, চেঁচামেচি, মারামারি লেগেই থাকত। ইদানীং টুঁশব্দও হয় না, কেমনে কী ভাই?
২য় প্রতিবেশী : ঝগড়ার শুরুতেই বউ মুখ, হাত, পা বেঁধে রাখে যে!     
---
১ম বন্ধু : একটা ব্যাপার খেয়াল করেছিস? বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর অধিকাংশ জামাইরা তাদের শ্বশুর-শাশুড়িকে পছন্দ করে না।   
২য় বন্ধু : হুম, এটা ঠিক।
১ম বন্ধু : কিন্তু তারা এটা ভাবে না, এই শ্বশুর-শাশুড়ি নিজ হাতে তাদের মেয়েকে তুলে দিয়েছে বলেই পেয়েছে।
২য় বন্ধু : এটা ভুলতে পারে না বলেই তো পছন্দ করে না!
---
স্ত্রী : আচ্ছা, আমরা তো একদিন মরবই, তাই না?  
স্বামী : তা তো অবশ্যই।  
স্ত্রী : একসঙ্গে হয়তো মরব না কিন্তু আবার তো দেখা হবে, তাই না?
স্বামী : কে বলল তোমাকে, মরার পর আমি নরকে যাব?  
---
কর্তা : বাজারে সব কিছুর দাম বাড়তি, কী করি বলো তো?
গিন্নি : কতদিন ধরেই তো বলছি, নিজের দামটা বাড়াও।
---
১ম বন্ধু : তোর বউ কেমন হয়েছে রে?
২য় বন্ধু : পুরাই পরি। তোর বউয়ের কী খবর?
১ম বন্ধু : আমার বউ এখনো আমার সঙ্গে, ডানা মেলে উড়াল দেয়নি!
---
: বলেন তো দেখি, প্রথমবার স্কাই ডাইভিং করতে কী লাগে?
Ñ কী বললেন? প্যারাসুট লাগে? ধুর! কিচ্ছু লাগে না। ঝাপাইয়া পড়লেই হয়। প্যারাসুট লাগে দ্বিতীয়বার স্কাই ডাইভিং করার ইচ্ছা থাকলে!
: আচ্ছা এইবার বলেন তোÑবিয়ে করার সময় কী লাগে?
Ñ আরে ভাই, এত কী ভাবেন! ফরমেট তো আগেরটাই। কিচ্ছু লাগে না। শুধু চোখ বুইজা ঝাপাইয়া পড়লেই হয়।
---
১ম বন্ধু : এইমাত্র দেখে এলাম, চার-পাঁচজন লোক তোর শালাকে পেটাচ্ছে। তাড়াতাড়ি যা। 
২য় বন্ধু : কেন, চার-পাঁচজন মিলেও সুবিধা করতে পারছে না?   
---
পুলিশ : চোর এতগুলো ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে গেল, তুমি কই ছিলে?
নাইটগার্ড : আপনি আছেন ল্যাপটপ নিয়া। যদি আমারে নিয়া যাইত?
---
শিক্ষক : শোন, অর্থই সকল অনর্থের মূল।
ছাত্র : ঠিক বলেছেন স্যার। যাদের পকেটে টাকা থাকে না, তারা সবাই উঁচু গলায় এ কথাটাই বলে।
---
স্যার : সদা সত্য কথা বলিবে।
ছাত্র : বিয়ের পরে অন্য হিসাব, তাই না স্যার?
---
১ম বান্ধবী : মুখ গোমড়া করে বসে আছিস যে?
২য় বান্ধবী : যে ছেলেটাকে পছন্দ করি, সে আমাকে বিয়ে করতে পারবে না বলে দিয়েছে।
১ম বান্ধবী : বিয়ে করবে না মানে? ওর বাপ বিয়ে করবে। ফাজলামি নাকি?
২য় বান্ধবী : যাকে ভালোবাসি তার সৎ মা হওয়াটা কি ঠিক হবে?  
---
বিচারক : ধরুন, আপনাকে এমন একটা ধাঁধা জিজ্ঞাসা করলাম, যার উত্তর আপনার জানা নেই। আপনাকে একটা সুযোগ দেওয়া হলো, ফোন করে জেনে নেওয়ার। কাকে ফোন করবেন আপনি?
প্রতিযোগী : আপনাকে!
---
ছেলেটি : আপনার মতো এত্ত সুন্দরী মেয়ে জীবনেও দেখিনি।  
মেয়েটি : রাস্তায় সুন্দরী মেয়ে দেখলেই এমন বলেন?     
ছেলেটি : না তো, আমার কাছে সবাই সমান, সবাইকে বলি।    
---
ছেলেটি : তোমাকে পাওয়ার জন্য আমার দু’চোখ থেকে ঘুম চলে গেছে। প্রতিটা রাত কাটে নির্ঘুম। আমাকে বিয়ে করবে? 
মেয়েটি : ভুলেও না। 
ছেলেটি : কেন?
মেয়েটি : বিয়ে করলেই তো চলে যাওয়া সব ঘুম ফেরত আসবে। তখন তো কেবল ঘুমিয়েই কাটাবে।
---
প্রেমিক : কী ব্যাপার, এতক্ষণ ফোন ব্যস্ত ছিল কেন?
প্রেমিকা : আর বলো না, রং নাম্বার থেকে ফোন এসেছিল।
প্রেমিক : রং নাম্বার থেকে আসা ফোনে এতক্ষণ কথা বলা লাগে? 
প্রেমিকা : রং নাম্বার থেকে আসা ফোনে আমি যে কথা বলি না, এটাই বোঝাচ্ছিলাম এতক্ষণ।
---
গাইড : কী, আমাদের দেশে ঘুরতে কেমন লাগছে?
টুরিস্ট : খুব ভালো লাগছে। কিন্তু একটা ব্যাপার ঠিক বুঝতে পারছি না। তোমাদের সেতুর রেলিংয়ে বাঁশ, ট্রেনের স্লিপারে বাঁশ, বিল্ডিংয়ের রডের জায়গায় বাঁশ, ব্যাপারটা কী? এটা কী তোমাদের দেশের ঐতিহ্য?   
গাইড : ঠিক ধরেছ, সব জায়গায় বাঁশ দেয়াটা আমাদের ঐতিহ্য!
---
১ম প্রতিবাদী : কোনো ঘটনা ঘটলে পুরো জাতি সোচ্চার হয়ে যাই, আবার দুদিন গেলেই ভুলে যাই, এটা কোনো কালচার হলো?  
২য় প্রতিবাদী : কেন হবে না? এটাই তো ফেসবুক কালচার!

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন