ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালযের স্বাগতিকতায় আয়োজিত ‘অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া এন্ড দ্য প্যাসিফিক’ (এইউএপি)-এর ১৫তম সাধারণ সম্মেলনের সমাপনী দিবসে শতাধিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

ঢাকার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গত বুধবার ১০টি দেশের ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েসন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস (আইইউএপি)-এর সভাপতি ড. ফার্নান্দো লিয়েন গ্রেসিয়া, এইউএপি-এর সভাপতি ড. পিটার পি লওরেল, এইউএপির নবনির্বাচিত সভাপতি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বাংলাদেশের দক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিদেশে সম্প্রসারণ এবং কার্যকরভাবে বিশ্বায়নের জন্য উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, যেহেতু এইউএপি-এ এশিয়া প্যাসিফিকের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তাই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একত্রিকরণ করা দেখে ভালো লাগছে এবং ৪র্থ শিল্প বিপ্লব যুগে প্রযুক্তি এবং তাদের সামাজিক প্রয়োগগুলোতে অধ্যয়ন এবং গবেষণায় প্রচুর সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা হতে পারে। গত সোমবার ঢাকার ধানমন্ডিতে ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্কে অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়। দ্বিতীয় দিনে ড. মো. সবুর খান এইউএপি-এর নতুন নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে শপথ নেন। তিন দিনে বিশ্বের ৩০টিরও বেশি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতারা উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইন থেকে মিশ্র শিক্ষা, শিক্ষা ব্যবস্থায় পরীক্ষামূলক ও ব্যবহারিক উপাদান, প্রকল্প-ভিত্তিক শিক্ষাদান বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন। এইউএপি-এর উদ্দেশ্য, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য একটি আধুনিক এবং কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। অনুষ্ঠানে ড. মো. সবুর খান সব অতিথিকে স্বাগত জানান এবং বলেন এইউএপি এখন মহামারি পরবর্তী শিক্ষার ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য কাজ করবে।