জিনের বাদশা শ্রীঘরে
কুড়িগ্রামে জিনের বাদশা চক্রের মূলহোতা মো. মেহের আলী (৩৫) নামের এক প্রতারককে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। সোমবার (২২ নভেম্বর) রাতে মেহের আলীকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।
মেহের আলী কুড়িগ্রাম পৌর শহরের কৃষ্ণপুর চরুয়াপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার অভিযোগকারীদের বরাত দিয়ে জানান, অভিযোগকারী বাদীর বড়বোনের সংসার জীবনে সন্তান না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা গ্রহণ করে সুফল না পাওয়ায় অজ্ঞাত পরিচয়ের মাধ্যমে মোবাইলে মেহেদী নামের কবিরাজের সঙ্গে পরিচয় হয়। সে জিনের বাদশা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয় এবং জানায় জিনের মাধ্যমে সে মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের গর্ভধারণের বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতারণামূলক প্রায় ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে সে ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে কৌশলে বিশ্বাস অর্জন করে তাদের জানায় যে বাড়ির ভিতরে টাকার ড্যাগ (হাড়ি) আছে, জিনের মাধ্যমে তা উঠিয়ে দেবে, এ কথা কাউকে বলা যাবে না বলে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় তাবিজ কবজ করে।
এরপর মেহের আলী ভিকটিমের পরিবারের কাছে একটি প্যাকেট দেয় এবং এর ভিতরে স্বর্ণের কয়েন আছে মর্মে জানায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। তবে ওই কয়েন তাহাজ্জুদের নামাজের সময় ঘর অন্ধকার করে হাতে হাতমোজা পরে মোমবাতির আলো জ্বালিয়ে দেখতে হবে। ওই বিষয়ে স্বর্ণের কয়েন দেওয়ার কথা বলে আরও প্রায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক।
অভিযোগের ভিত্তিতে কুড়িগ্রাম সদর থানার একটি চৌকস টিম প্রাথমিক তদন্ত ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নিজেকে জিনের বাদশা দাবি করা কবিরাজ মেহের আলীকে গ্রেফতার ও কয়েন, হরিণের চামড়ার টুকরো, মোবাইল ফোন, তাবিজ কবজ উদ্ধার করে পুলিশ।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমীন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি দীর্ঘদিন ধরে চতুরতার সঙ্গে গোল্ড কয়েনের লোভ দেখিয়ে নিজেকে জিনের বাদশা পরিচয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে জিনের বাদশা পরিচয়দানকারী মেহেদী নামে পরিচয় দেওয়া প্রতারক মেহের আলীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
জিনের বাদশা শ্রীঘরে
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
২২ নভেম্বর ২০২২, ২২:৫৮:০০ | অনলাইন সংস্করণ
কুড়িগ্রামে জিনের বাদশা চক্রের মূলহোতা মো. মেহের আলী (৩৫) নামের এক প্রতারককে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। সোমবার (২২ নভেম্বর) রাতে মেহের আলীকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।
মেহের আলী কুড়িগ্রাম পৌর শহরের কৃষ্ণপুর চরুয়াপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার অভিযোগকারীদের বরাত দিয়ে জানান, অভিযোগকারী বাদীর বড়বোনের সংসার জীবনে সন্তান না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা গ্রহণ করে সুফল না পাওয়ায় অজ্ঞাত পরিচয়ের মাধ্যমে মোবাইলে মেহেদী নামের কবিরাজের সঙ্গে পরিচয় হয়। সে জিনের বাদশা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয় এবং জানায় জিনের মাধ্যমে সে মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের গর্ভধারণের বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতারণামূলক প্রায় ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে সে ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে কৌশলে বিশ্বাস অর্জন করে তাদের জানায় যে বাড়ির ভিতরে টাকার ড্যাগ (হাড়ি) আছে, জিনের মাধ্যমে তা উঠিয়ে দেবে, এ কথা কাউকে বলা যাবে না বলে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় তাবিজ কবজ করে।
এরপর মেহের আলী ভিকটিমের পরিবারের কাছে একটি প্যাকেট দেয় এবং এর ভিতরে স্বর্ণের কয়েন আছে মর্মে জানায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। তবে ওই কয়েন তাহাজ্জুদের নামাজের সময় ঘর অন্ধকার করে হাতে হাতমোজা পরে মোমবাতির আলো জ্বালিয়ে দেখতে হবে। ওই বিষয়ে স্বর্ণের কয়েন দেওয়ার কথা বলে আরও প্রায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক।
অভিযোগের ভিত্তিতে কুড়িগ্রাম সদর থানার একটি চৌকস টিম প্রাথমিক তদন্ত ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নিজেকে জিনের বাদশা দাবি করা কবিরাজ মেহের আলীকে গ্রেফতার ও কয়েন, হরিণের চামড়ার টুকরো, মোবাইল ফোন, তাবিজ কবজ উদ্ধার করে পুলিশ।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমীন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি দীর্ঘদিন ধরে চতুরতার সঙ্গে গোল্ড কয়েনের লোভ দেখিয়ে নিজেকে জিনের বাদশা পরিচয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে জিনের বাদশা পরিচয়দানকারী মেহেদী নামে পরিচয় দেওয়া প্রতারক মেহের আলীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2024