অধ্যাপক কোহিনুর বেগমের সাক্ষাৎকার

রোগীর কথা চিন্তা করে আমাদের ঝুঁকি নিতেই হয়েছে

 যোবায়ের আহসান জাবের 
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭:৫০ এএম  |  অনলাইন সংস্করণ

দেশে করোনাভাইরাস মহামারীতে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন চিকিৎসকরা। মূলতঃ ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে চিকিৎসকদের নামই থাকবে সবার আগে। বিশেষ করে গাইনি চিকিৎসকরা করোনামহামারীতে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। এ ব্যাপারে কথা বলেছেন কিংবদন্তি চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন তার চিকিৎসক হয়ে ওঠার গল্প। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন যোবায়ের আহসান জাবের

যুগান্তর: করোনার প্রথমদিকের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলুন।

অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম: করোনাভাইরাসের জন্য পরিস্থিতি যে এতটা খারাপ হবে তাতো কেউই প্রথম দিকে আন্দাজ করতে পারেনি। তখন এর ভয়াবহতা এবং ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কে ভাল বুঝতে পারা যায় নাই। সেজন্য প্রথমদিকে ডাক্তারদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি ছিল। যখন এই ভাইরাসের গতিবিধি বুঝতে পারা গেলো- তখন থেকেই আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা (who) এবং আমাদের সরকার এর দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা হাসপাতাল এবং চেম্বারে রোগী দেখা চালিয়ে গেলাম।

যুগান্তর: করোনার সময় অনেক চিকিৎসক সরাসরি চিকিৎসা দেননি কিন্তু আপনি সবসময় সরাসরি চিকিৎসা দিয়েছেন। এতে তো অনেক ঝুঁকি ছিল। কিন্তু কোন প্রেরণায় আপনি এটি করতে গেলেন?

অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম: করোনার সময় অন্যান্য পেশার লোকজন যা করতে পেরেছে আমরা তা পারি নাই। এমন অনেক কর্মকর্তা আছেন যারা ৬ মাস ১ বছর বাড়িতে বসেছিলেন কাজের জায়গা বাদ দিয়ে। কারণ আমরা মানুষের জীবন নিয়ে ডিল করি। অবস্ অ্যান্ড গাইনিতে তো আরও অনেক ইমার্জেন্সী। যে কোনো সময় মা এবং বাচ্চা ২ জনেরই সমস্যা হতে পারে যেমন- লেবার পেইন উঠতে পারে, ব্লিডিং হতে পারে ইত্যাদি।

কাজেই রোগীর কথা চিন্তা করে আমাদের তো ঝুঁকি নিতেই হয়েছে। অন্যান্য বিভাগের রোগীকে গায়ে হাত দিয়ে বা ফিজিক্যাল পরীক্ষা না করলেও চলে কিন্তু অবস্ অ্যান্ড গাইনিতে তা হয় না। রোগীর কাছে গিয়ে রোগীকে পরীক্ষা করতে হয়, ইন্টারনাল পরীক্ষা করতে হয়। ডেলিভারি করাতে হয় ইত্যাদি। কাজেই গাইনির ডাক্তারদের আক্রান্ত হবার হারও বেশি ছিল। এই জন্য প্রত্যেক হাসপাতালে সরকারি নির্দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ পারসনাল প্রোটেকশন সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছিল। প্রক্যেক ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যসেবার সাথে যারা জড়িত তাদের নিজেদের সেফটির জন্য সেগুলো ব্যবহার বিধি জেনে, ব্যবহার করা উচিত।

যুগান্তর: আপনার শৈশব এবং কৈশোরের বেড়ে ওঠার গল্প শুনতে চাই।

অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম: আমার বাড়ি বরিশাল কিন্তু একদম ছোটবেলা বরিশালে কাটে নাই। আমার আব্বার চাকরির সুবাদে আমি প্রথমে ভোলায় সরকারি স্কুলে ভর্তি হয়ে ক্লাশ ফোর পর্যন্ত পড়েছি। তারপর পটুয়াখালী সরকারি গার্লস স্কুলে ক্লাস নাইন পর্যন্ত ছিলাম। পরে বরিশাল সরকারি গার্লস স্কুলে ক্লাশ টেনে এসে ভর্তি হয়েছি। এবং ওখান থেকেই ১৯৬৭ সালে মেট্রিক পাশ করেছি। ১৯৬৯ সালে বি.এম কলেজ (সরকারি ব্রজমোহন কলেজ) থেকে ইন্টামিডিয়েট পাশ করি।

যুগান্তর: আপনার কলেজ জীবনের কোন বিশেষ স্মৃতি থাকলে বলুন।

অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম: আমি বি এম কলেজে পড়েছি। ওখানে ছিল কো-এডুকেশন। ওই সময়টা ছিল খুব রক্ষণশীল ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলামেশার সুযোগ বেশি ছিল না। ছাত্রী সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে অনেক কম ছিল। ছাত্রীদের কমনরুম ক্লাশ থেকে খানিকটা দূরে ছিল। ক্লাশ শিক্ষক প্রবেশ না করা পর্যন্ত আমরা মেয়েরা প্রবেশ করতাম না। শিক্ষক প্রবেশের পর তার পিছনে পিছনে প্রবেশ করতাম। আমাদের জন্য আলাদা টেবিল ছিল দরজার কাছে, সেখানে বসতাম। আর ক্লাশ শেষে স্যারের পিছনে বের হতাম এবং দলবদ্ধভাবে মেয়েদের কমনরুমে যেতাম।

যুগান্তর: কেন আপনি চিকিৎসক হবার পরিকল্পনা করেছিলেন? আপনার চিকিৎসক হবার পেছনে অনুপ্রেরণ কার ছিল?

অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম: বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের পিছনেই আমাদের বাড়ী। বরিশাল মেডিকেল কলেজের ছাত্র ভর্তি শুরু হয় ১৯৬৮ সালে থেকে, তখন আমি ইন্টারমিডিয়েট পড়ি এবং তখনই আমি টার্গেট করি আমাকে এই মেডিকেল কলেজেই ভর্তি হতে হবে। আমার বাসায় এতকাছে মেডিকেল কলেজ আর আমি সেখানে পড়ব না তা হয় না।

আমার আব্বা আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। মেডিকেলে ভর্তি হবার জন্য। কিন্তু আমার আম্মা বলতেন এত কঠিন পড়া মেয়েদের জন্য কি দরকার! ঐ সময় মেডিকেলে ভর্তিটা অতটা কঠিন ছিল না এখনকার মতো। আমি বরিশাল মেডিকেল কলেজের ২য় ব্যাচের ছাত্রী ছিলাম। তখন কলেজটা ছিল নির্মাণাধীন। তবে কলেজের পরিবেশ ছিল অত্যন্ত সুন্দর।

যুগান্তর: মেডিকেল কলেজের জীবন কিভাবে কেটেছে?

অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম: মেডিকেল কলেজের পিছনেই আমাদের বাসা ছিল। আমার হোস্টেলে থাকতে হয় নাই। লাইব্রেরি থেকে বড় বড় বইগুলি টেনে বাসায় নিয়ে যেতাম। নোট করার জন্য কারণ এখনকার ছেলে মেয়েদের মতো আমরা নোটবই পড়ে পরীক্ষা দিতে অভ্যস্ত ছিলাম না। নিজেরাই নোট করে পড়তাম। তবে আমরা খুবই ভাগ্যবান ছিলাম এই জন্যে যে কিংবদন্তী সব শিক্ষকরা আমাদের পড়িয়েছেন। যেমন ভাল ছিল প্রিক্লিনিকাল সাবজেক্ট-এর শিক্ষকরা তেমনি ভাল ছিল ক্লিনিক্যাল সাবজেক্ট এর শিক্ষকরা। অসাধারণ সব শিক্ষকদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করছি- প্রফেসর সিদ্দীকুল্লাহ স্যার আমাদের প্রিন্সিপাল ছিলেন। প্রফেসর হুরমত আলী, প্রফেসর আজিজুর রহমান, প্রফেসর সাত্তার, প্রফেসর আব্দুল হালিম এর মতো প্রিক্লিনিকাল সাবজেক্ট-এর শিক্ষক এবং প্রফেসর মোতালিব, প্রফেসর আমিনুল ইসলাম, প্রফেসর আনিসউদ্দিন আহম্মেদ, প্রফেসর আজিজুর রহমান এর মতো ক্লিনিক্যাল সাবজেক্ট-এর টিচারদের ছাত্রী হতে পারা অতীব ভাগ্যের বিষয়। ছাত্রী ভাল হবার জন্য সব শিক্ষকগণই আমাকে খুব স্নেহ করতেন। আমি চিরদিন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।

আর একজন শিক্ষকের কথা না বললে আমার খুব খারাপ লাগবে। উনি হলেন ঐ সময়ের সব ছাত্রছাত্রীদের প্রাণের প্রিয় (উনি আমাদের উবসড়হংঃৎধঃড়ৎ ছিলেন) ডাঃ সিরাজুল ইসলাম (আমরা যাকে চান্দু স্যার বল ডাকতাম) শিক্ষকরা যে ছাত্রদের কত বড় বন্ধু হতে পারে তা যারা চান্দু স্যার পধঢ়ঃধরহ স্যারের সাথে না মিশেছেন তারা বুঝতে পারবেন না। অল্প কিছু দিন আগে স্যার করোনাতে আক্রান্ত হয়ে ইনতিকাল করেছেন। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসীব করুন।

যুগান্তর: আপনার প্রথম কর্মজীবন নিয়ে কিছু বলুন।

অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম: আমি ইন্টার্ন করার সময় বিয়ে হয়ে যায়। আমারই সহপাঠী ডা. ফারুকের সঙ্গে। বিয়ের পর আমরা পোস্টিং নিয়ে ময়মনসিংহের শেরপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ জয়েন্ট করলাম মেডিকেল অফিসার হিসাবে। তখনই শেরপুর শহরটা বেশ এডভান্সড ছিল। সব ধরনের রোগী দেখতে হতো। এতে সবচেয়ে বড় ব্যাপার মাঝে মাঝে রোগী দেখতে তাদের বাড়ীতে যেতে হতো। কারণ তখন এলাকায় লোকজনের ধারণা ছিল সরকারি ডাক্তার বাসায় এসে রোগী দেখবে না কেন? আর মাঝে মধ্যেই মারামারি করে সার্টিফিকেট চাইতো মামলা করার জন্য। তখন ভাবলাম আর এখানে থাকবো না। ৬ মাস পরেই পোস্ট-গ্রাজুয়েশন করার জন্য তখনকার পিজি হাসপাতাল এসে এফসিপিএস পার্ট-১ এ ভর্তি হলাম।

যুগান্তর: উচ্চশিক্ষাকালীন সময়ের গল্প শুনতে চাই।

অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম: এফসিপিএস পার্ট-১ এ পাশ করার পরে আমি ট্রেনিং এর জন্য তখনকার পিজি হাসপাতালকেই বেছে নিয়েছিলাম। প্রফেসর টিএ চৌধুরী স্যারের সাথে ট্রেনিং করার খুব ইচ্ছা ছিল। আমি সত্যিই ভাগ্যবতী এইজন্য যে, স্যারের কাছে যাওয়ার পর স্যার আমাকে তার ক্লিনিক্যাল এসিসট্যান্ট (সি/এ) হিসাবে নিতে রাজী হলেন। টি.এ চৌধুরী স্যারের কথা আপনাদের কি বলবো- ভাল মানুষ, ভাল টিচার, ভাল ডাক্তার, ভাল ট্রেইনার, গুড এডমিনিস্ট্রিটর- হোয়াই নট? এরকম একজন শিক্ষক পেয়ে শুধু আমি কেনো বাংলাদেশের অবস্ এর গাইনির সব ডাক্তাররা ধন্য। এখনও আমি আমার জুনিয়রদের সাথে বলতে গর্ববোধ করি যে আমি টি.এ. চৌধুরী স্যারের ক্লিনিক্যাল এসিসট্যান্ট (সি/এ) ছিলাম।

তৎকালীন পিজিতে ট্রেনিং এর সময় আরো একজনের গাইডেন্স, সাহচার্য, সহযোগীতা পেয়ে আমরা ধন্য হয়েছি- তিনি হলেন- আমাদের প্রিয় ম্যাডাম প্রফেসর শাহলা খাতুন। কি যে ভাল বাসতেন নিজের এবং অন্য ইউনিট এর ডাক্তারদের, যারা ম্যাডাম-এর সান্বিধ্যে না আসছে তারা বুঝবে না। দোয়া করি স্যার/ ম্যাডাম আমাদের মধ্যে আপনারা আরও বহুদিন বেঁচে থাকুন।

যুগান্তর: আপনার কর্মজীবনের গল্প শুনতে চাই। ঢাকা মেডিকেলে দায়িত্ব পালনের সময়ের কিছু স্মৃতি বলুন।

অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম: এফসিপিএস পার্ট-২ পাশ করার পর রেসিডেন্স সার্জন হিসাবে অবস্ অ্যান্ড গাইনি এ যোগদান করি। আর অবস্ অ্যান্ড গাইনি এর মতো সাবজেক্ট-এর স্কিল ভালভাবে হাতে কলমে শিখতে হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মতো বড় বড় সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাজ করাটা অতি আবশ্যক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে যাদের সাথে কাজ করার দুর্লভ সৌভাগ্য হয়েছে তাদের নাম উল্লেখ না করলে আমার অন্যায় হবে। প্রফেসর ফিরোজা বেগম, প্রফেসর ওয়াদুদ স্যার, প্রফেসর এরশাদ আলী, প্রফেসর বদরুননেসা, তারা একএকজন এই সাবজেক্টের দিকপাল। মহীরুহ। আমি সারাজীবন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো। রেসিডেন্ট সার্জন হিসাবে ঢুকে এসিসট্যান্ট প্রফেসর, এসোসিয়েট প্রফেসর, প্রফেসর, হেড অব ডিপার্টমেন্ট হিসাবে ঢাকা মেডিকেল থেকে অবসর নিয়েছি। ২০০৭ সালে সবশেষে আমার হাজবেন্ড আমার চিরজীবনের সাথী প্রফেসর টি.আই.এমএ ফারুক এর কথা দিয়ে শেষ করবো। আমরা একই মেডিকেল কলেজের সহপাঠী ছিলাম। ২য় এবং ৩য় বর্ষ থেকেই ঘনিষ্ঠ পরিচয় মেলামেশা শেষ হয়েছে পরিণয়ে ১৯৭৬ সালে।

আমরা যখন ২য় বর্ষে তখন স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ওরা যারা হোস্টেলে থাকতো ওদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং-এর অন্ধকার রুমে আটকে রেখেছিল কয়েক সপ্তাহ। সেখান থেকে বের হয়ে গ্রাম চলে গিয়েছিল।

ছাত্র অবস্থা থেকেই একজন দক্ষ অর্গানাইজার ছিল। এফসিপিএস পাশ করার পর চাকরির বেশিরভাগ সময়েই বিভিন্ন পজিশনে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ছিল। ক্লিনিক্যাল এসিস্টান্ট, রিজিস্ট্রার, রেসিডেন্ট সার্জন, এসিসট্যান্ট প্রফেসর, এসোসিয়েট প্রফেসর, প্রফেসর হিসাবে অবসর নিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল থেকে। সরকারি চাকুরী শেষে পপুলার মেডিকেল কলেজ এ ফাউন্ডার প্রিন্সিপাল হিসাবে কাজ করেছেন বহু বছর।

প্রফেসর ফারুক নিজের উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে ওনার গ্রামের বাড়িতে একটা দাতব্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে যাতে ওই এলাকার গরীব রোগীরা বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা পায়ে। গ্রামেদ মক্তব, মাদ্রাসা, মসজিদ তৈরি করেছেন এবং এগুলোর পরিচালনার সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন।

বহুবছর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান এবং সার্জনের কাউন্সিলর হিসাবে, এডমিনিস্ট্রেটর হিসাবে যুক্ত ছিলেন। বিসিপিএস, পপুলার মেডিকেল কলেজ ছিল ওর ধ্যানজ্ঞান। বরিশাল মেডিকেল কলেজের (বর্তমান শেরে-এ-বাংলা মেডিকেল কলেজ) প্রাক্তন ছাত্রসমিতির প্রেসিডেন্ট হিসাবে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত যুক্ত থেকেছেন।

ফারুকের কর্মপরিধি ছিল অনেক বড়। অনেক প্রফেসনাল সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিল। সিনিয়র টিচার থেকে শুরু করে জুনিয়ার ডাক্তার সবার কাছেই সমানভাবে প্রিয় ছিল।

আজকে আপনারা যে কোহিনুরকে দেখছেন- ফারুক না থাকলে আমার এ পর্যন্ত আসা সম্ভব হতো না।

৪৫টা বছর যে আমার সবসময়ের এবং সব কাজের সাথী ছিল- করোনা এসে আমাদেরকে আলাদা করে দিলো। আমার ভাবতে খুবই কষ্ট হচ্ছে যে, ফারুক নেই। কিন্তু একজন মুসলমান হিসেবে আমার মানতে হবে যে- এটা আল্লাহর ইচ্ছা। আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

যুগান্তর: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 

অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম: আপনাকেও ধন্যবাদ

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন