স্পেনে রেস্তোরাঁ ব্যবসায় বাংলাদেশিদের সফলতা
কবির আল মাহমুদ, স্পেন থেকে
২৩ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৩২:০৯ | অনলাইন সংস্করণ
স্পেনের সূর্য নগরীখ্যাত মারবেলা। প্রতিবছর এ নগরীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নৈসর্গিক স্থাপত্য কলা, নিদর্শন উপভোগ করতে হাজারও পর্যটকের ভিড় জমে।
বছরজুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা থাকায় দেশটির অন্যান্য শহরের তুলনায় এখানকার ব্যবসা বাণিজ্য দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে।
স্পেনের রাজধানী শহর মাদ্রিদ থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দূরবর্তী এ শহরে বাংলাদেশিদের বসবাস খুবই কম। অন্তত ৪০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি এ শহরে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন। তবে বাংলাদেশিরা রেস্তোরাঁ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। নতুন কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মারবেলায় বসবাসরত বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল এসব কথা তুলে ধরেন।
গত বৃহস্পতিবার মাদ্রিদে দূতাবাসের হলরুমে ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্রদূতকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশি ব্যবসায়ী জাছিম আহমদ, শিপলু সালাম ও মনজুর আহমদ এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পরিচিত হন।
এ সময় দূতালয়প্রধান এটিএম আব্দুর রউফ মণ্ডল, প্রথম কাউন্সিলর মুতাসিমুল ইসলাম, ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কবির আল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
স্পেনে রেস্তোরাঁ ব্যবসায় বাংলাদেশিদের সফলতা
স্পেনের সূর্য নগরীখ্যাত মারবেলা। প্রতিবছর এ নগরীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নৈসর্গিক স্থাপত্য কলা, নিদর্শন উপভোগ করতে হাজারও পর্যটকের ভিড় জমে।
বছরজুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা থাকায় দেশটির অন্যান্য শহরের তুলনায় এখানকার ব্যবসা বাণিজ্য দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে।
স্পেনের রাজধানী শহর মাদ্রিদ থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দূরবর্তী এ শহরে বাংলাদেশিদের বসবাস খুবই কম। অন্তত ৪০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি এ শহরে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন। তবে বাংলাদেশিরা রেস্তোরাঁ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। নতুন কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মারবেলায় বসবাসরত বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল এসব কথা তুলে ধরেন।
গত বৃহস্পতিবার মাদ্রিদে দূতাবাসের হলরুমে ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্রদূতকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশি ব্যবসায়ী জাছিম আহমদ, শিপলু সালাম ও মনজুর আহমদ এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পরিচিত হন।
এ সময় দূতালয়প্রধান এটিএম আব্দুর রউফ মণ্ডল, প্রথম কাউন্সিলর মুতাসিমুল ইসলাম, ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কবির আল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বিরহের চিঠি সে লিখে পাঠাল
খাবারের অভাবে অনেককে কষ্ট পেতে দেখেছি, খেতে না পারার কারণে কাউকে মরতে দেখিনি। তবে সঙ্গিনীর অভাবে অনেককে জীবন যন্ত্রণায় বিছানধরা হতে দেখেছি।
শুনেছি ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়, তবে নিজ চোখে ভালোবাসা জানালা দিয়ে আসতে দেখেছি- সেটা ছিল মনের জানালা।
পল নিলছন নামটি পরিচিত নয়। কারণ এ নামটি বাংলাদেশি নয়, এটা একটি সুইডিশ নাম। পল সুদর্শন চেহারাধারী একজন সুইডিশ ছাত্র। সে আমার সমবয়সী, আমরা তখন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি এবং থাকিও একই ডর্মিটরিতে। আমার সাবজেক্ট তখন কম্পিউটার এবং তার রসায়ন। আমাদের প্রথম দেখা ডর্মিটরিতে।
-আমি পল নিলছন, সাউথ অব সুইডেন থেকে এসেছি।
-তুমি?
-আমি রহমান মৃধা, সুদুর বাংলাদেশ থেকে এসেছি।
-পল বললো, তা ইংলিশ কান্ট্রি ছেড়ে সরাসরি সুইডেনে?
-আমি বললাম, মানে?
-পল বললো, না, মানে সুইডিশ ভাষা, তারপর ঠাণ্ডা দেশ, কারণটা কী জানতে পারি?
-আমি ভাবছি, সুইডিশ জাতি শুনেছি কিউরিয়াস কিন্তু সরাসরি এভাবে প্রশ্ন করতে পারে তাতো কখনও শুনিনি!
যাই হোক প্রথম পরিচয়, এ কথা সে কথা শেষে বিদায় নিয়ে নিজ রুমে চলে এলাম। আমার ডর্মিটরিতে আরও ছয়জন ছেলেমেয়ে থাকে তবে পল কিছুটা ভিন্ন। সময় পেলেই আমার সঙ্গে মিশতে চায়। তার ক্লাসে ছেলের থেকে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। সে ফ্রি সময়ে মেয়েলি কাহিনী নিয়ে আলোচনা করতেই বেশি পছন্দ করে।
আমাদের সাবজেক্ট ভিন্ন, ক্লাস আলাদা, বন্ধু-বান্ধবীও আলাদা। তবে একই ডর্মিটরিতে থাকি সেক্ষেত্রে আমরা দুইজনে অবসর সময়ে এক সঙ্গে আড্ডা দিতে শুরু করি। সুইডেনে তখন বিজ্ঞান বিভাগের সাবজেক্টগুলোর মধ্যে যারা রসায়ন পড়তো তাদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ছিল বেশি। পলের ক্লাসে মেয়েদের সংখ্যা নব্বই শতাংশ আর আমার কম্পিউটার ক্লাসে একে তো বেশির ভাগ বিদেশি এবং তার প্রায় নব্বই শতাংশই ছেলে। মেজাজ যেতো খারাপ হয়ে, দেশে থাকতে শুধু ছেলেদের সঙ্গে পড়েছি। প্রাইমারি, হাইস্কুলে মেয়ে বন্ধু ছিল বটে, তবে খোলামেলাভাবে না, মেয়েরা শিক্ষকদের সঙ্গে ক্লাসে আসতো, ক্লাস শেষে শিক্ষকের সঙ্গে চলে যেতো। পরে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি হলাম। ওমা! মেয়ের কোনো বালাই নেই! এমনকি শিক্ষকরাও সব পুরুষ। লেখাপড়ায় ঠিকমতো মনই বসে না! পরে একজন নারী শিক্ষক এসেছিলেন, তিনি বাংলা পড়াতেন। সে আরেক কাহিনী, অন্য কোনো এক সময় লিখব সে বিষয়ে হয়তো। তবে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল যাই হোক না কেন, বাংলা দুই সাবজেক্টের রেজাল্ট কিন্তু ভালো ছিল।
যাই হোক ভাগ্য সুইডেনে আসার পরও একই থেকে গেল। কী আর করা বিদেশে পড়তে এসেছি লেখাপড়া গোল্লায় গেলে তো মান-ইজ্জত যাবে। ছোটবেলা থেকে জেনেছি সবাই বিদেশে আসে উচ্চ শিক্ষার্থে তাও দেশের সব লেখাপড়া শেষ করে। আমি এসেছি এইসএসসি পাস করে। বিশাল চ্যালেঞ্জ, ঠিকমতো লেখাপড়া না হলে তো খবর হয়ে যাবে।
১৯৮৫ সালের কথা বলছি। আজ যেমন দেশের মানুষ বিদেশে আসে চাকরি করতে আমার সময় বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে বিদেশে আসতো শুধু উচ্চশিক্ষার্থে আর কিছু আসতো তাদের নাকি দেশে থাকলে জীবন নাশের সম্ভাবনা তাই। যাই হোক লেখার মূল বিষয়ে ফিরে যাই এখন।
আমি পলের ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম। বলেছি আগেই সমবয়সি তারপর একই ডর্মিটরিতে থাকি। উইকেন্ডে পার্টি হলে আমি ওর বন্ধু বান্ধবীদের সঙ্গেই বেশি মিশতাম, নিজ ক্লাসের বন্ধুদের সঙ্গে না মেশার পেছনে দুটো কারণ ছিল। প্রথমত, সবাই বলতে গেলে ছেলে। দ্বিতীয়ত, দেখা হলে ইংরেজিতে কথা। থাকি এখন সুইডেনে, পড়ি সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে, এমনিতেই যথেষ্ট ইংরেজি রয়েছে, তারপর টোফেল পাস করে এসেছি দেশ থেকে। মোটামুটি ম্যানেজবল, কিন্তু সুইডিশ তো ম্যানেজবল হলে চলবে না? তো পলের গ্রুপেই সুযোগ সুবিধে বেশি তারপর মজা আছে বান্ধবীদের সঙ্গে মিশে। তখন আমার সবচেয়ে বড় সমস্যা ‘লজ্জা’। আমার লজ্জা লাগে কথা বলতে। মেয়েদের সঙ্গে কখনো তো কথাই বলিনি দেশে থাকতে। গোপনে গাপনে একটু আধটু চিঠি লিখেছি তাতেই খবর হয়ে গেছে। এখন নতুন জীবন, কী করি! বড়ই বিপদ।
এদিকে পল সুইডিশের লজ্জা আমার থেকে আরও বেশি, ল্যাও ঠ্যালা। হাতে হারিকেন সেখানে বাঁশ। পল এদিকে ক্লাসের এক মেয়ের প্রেমে পড়েছে বাঙালিদের মতো। আমি বললাম পল তোর অবস্থা তো বাংলাদেশিদের মতো হবে শেষে, শালা তুই তো দেবদাস হবি পরে। ও বললো দেবদাস কী? আমি মনে মনে বল্লাম ধরা তো ভালো মতো খাইছি, সুইডিশ ভাষার যে অবস্থা সবে মাস খানেক হইছে এসেছি, কীভাবে এখন দেবদাস কী তা বুঝাবো? পরে বল্লাম ওই ধর রোমিও এবং জুলিয়েটের প্রেম। শালা তৎক্ষণাৎ বলে যে তাদের তো পারিবারিক সমস্যা ছিল, আমাদের তো সে সমস্যা না। আমি বল্লাম তোর আবার কী সমস্যা। পল বললো যে আমার লজ্জা লাগে, আমি তো তারে বলতেই পারছিনে যে, আমিও তাকে পছন্দ করি, ভালোবাসি। কী বিপদ, নিজেই যে রোগে ভুগছি, কিভাবে বন্ধু পলকে সাহায্য করব? বন্ধু মানুষ কিছু একটা না করলেও তো হবে না। বল্লাম বন্ধু শোন, লজ্জা হচ্ছে নারীদের জন্য, আমাদের লজ্জা মানায় না। পল তখন বললো তাহলে তুই কেন লাজুক? আমি বললাম আমি লাজুক তোকে কে বলল? পল বলল আমার ক্লাসের একটি মেয়ে বলেছে। আমি এবার শুধু বিপদ নয় মহাবিপদে পড়লাম, মুহূর্তে মনের মধ্যে ঘণ্টার কাঁটা বাজতে শুরু করল, কে সেই সুন্দর কে?
সেদিন শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে বসে পড়ছি। হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন একটু চিমটি দিয়ে বললো রহমান কী করো? চেয়ে দেখি সুফিয়া, বল্লাম একটু সুইডিশ পড়ছি। সুফিয়া বললো, তা কেমন চলছে? বললাম, কী মনে হয়? মোটামুটি বলেই সুফিয়া জিজ্ঞেস করল, What is the secret of love?
-আমি আন্দাজে জোকস করে বল্লাম, Close your eyes and just love, এটাই সিক্রেট।
-কথাটি শুনে সে অবাক হয়ে আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল।
-আমি বললাম কী দেখছো?
-সে বলল, তোমাকে।
-আমি বললাম এত দিন ধরে তাহলে কী দেখেছো?
-সে তারও উত্তরে বলল, তোমাকে।
-আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম তাহলে?
-উত্তরে সে বলল, তোমার মতো এত সুন্দর মনের মানুষ এর আগে অন্য কাউকে দেখিনি, বলেই চোখ বন্ধ করে মুখে মুখ লাগিয়ে লাইব্রেরিতে জনসমুদ্রের সামনে একটি চুম্বন লাগিয়ে দিব্বি চলে গেল।
তারপর? তার আর পর নেই, কিছু দিন পরে বিরহের কথা লিখে একটি চিঠি এসেছিল। কে লিখেছিল, কী লিখেছিল, কাকে লিখেছিল? সুফিয়া লিখেছিল আমাকে। পল সম্পর্কে, সেও নাকি মনেপ্রাণে পলকে ভালোবাসতো কিন্তু পল এত লাজুক ছিল যে ভালোবাসার ফুল তাদের মাঝে ফোটেনি তখন। পরে সুফিয়া অন্য একজনকে বিয়ে করে এতটুকু শুনেছি।
বহু বছর পর আজ পল হঠাৎ টেলিফোন করেছে আমাকে। আমি স্টকহোম আরলান্ডা এয়ারপোর্টে বসে আছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার প্লেন ছাড়বে লন্ডনের উদ্দেশে। ফোন ধরে হ্যালো বলতেই জানলাম পল। কী ব্যাপার পল কেমন আছো, কোথায় আছো, কী করছো?
পল বিনাদ্বিধায় বলে গেল, রহমান আমার বউ নেই, সন্তান নেই, পরিবার নেই, আছে একটি অ্যাপার্টমেন্ট, থাকি একা, কেউ নেই, কিছু নেই। আমি চুপ হয়ে গেলাম, আমার বলার কিছু ছিল না। আজও সেই সুফিয়ার অপেক্ষায় পল, যার ফলে সে জীবনে বিয়েও করেনি!
লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন
যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সাংবাদিকতায় এওয়ার্ড পেয়েছেন নির্জন মোশাররফ
অস্ট্রেলিয়ায় সাংবাদিকতায় অবদান রেখে ‘অনার অব জার্নালিষ্ট’ এওয়ার্ড পেয়েছেন নির্জন মোশাররফ।
সম্প্রতি সিডনিতে অনুষ্ঠিত এক আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে সিডনির স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা এ পুরষ্কার তুলে দেন। পুরস্কারে বিবেচনায় রাখা হয় জন-বান্ধব সাংবাদিকতা, বস্তুনিষ্টতা ও সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা।
সিডনির পেরিপার্কের স্থানীয় হল রুমে এক বর্ণিল আয়োজনে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। আয়োজনের নেপথ্যে কাজ করে স্থানীয় গনমাধ্যম নবধারা নিউজ। গণমাধ্যটির দশবছর পূর্তির মাইলফলকে সাংবাদিকতাসহ আরো বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে গুনীজনদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি কার্ল সালেহ, রাজ দত্ত, ডক্টর সাবরিন ফারুকী, ভাদ্রা উবায়বা, খলিল মাসুদসহ আরো অনেক গন্যমান্য বাক্তিবর্গ।
নবধারার কর্ণধার আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটিতে যোগদেন স্থানীয় মিডিয়া ব্যাক্তিত্বসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও পেশাজীবী অভিবাসীরা।
নির্জন মোশাররফ বাস করেন ওয়ের্স্টান অস্ট্রেলিয়ার পার্থে।সাংবাদিকতায় আছে চৌদ্দ বছরের অভিজ্ঞতা।বর্তমানে কাজ করছেন জনপ্রিয় গনমাধ্যম বাংলাভিশন টেলিভিশন ও ঢাকা পোস্টে।
সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস এন্ড মিডিয়া ক্লাবে। টিম লিডার (ওয়ের্ষ্টান অস্ট্রেলিয়া) হিসেবে যুক্ত আছেন এমএলসি ইন্টারন্যাশনালে। লেখালেখি করছেন প্রবাসে থেকে। ’ডার্ক চকলেট’ উপন্যাস দিয়ে লেখক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছেন। রোমান্টিক ঘরনার থ্রিলার উপন্যাসটি এবছর বাজরে এসেছে ।
প্রকাশ পেয়েছে আন্তজার্তিক ভাবেও। ঢাকা, সিডনি ও লন্ডনে আনুষ্ঠানিকভাবে মোড়ক উন্মোচন হয় গ্রন্থটির। প্রকাশের অপেক্ষামান আছে আরো বেশ কয়েকটি থ্রিলার উপন্যাস।
নির্জন মোশাররফের পুরো নাম মোশাররফ হোসেন নির্জন। সাংবাদিকতার খাতে খড়ি দৈনিক ভোরের কাগজে।তিনি ব্যাক্তিগত জীবনে বিবাহিত।তার সহধর্মনীও সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন ডিবিসিতে।
নির্জন মোশাররফ ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার তিতাস বিধৌত আখাউড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। রেলওয়ে স্কুল, ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যায়ন করে পাড়ি জমান সদূর অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে ইডিথ কাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করেন।
যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুয়েতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
কুয়েতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় কুয়েতের সুবহান সেনাবাহিনীর বিএমসি সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কুয়েত সশস্ত্র বাহিনী প্রধানের পক্ষে এসিস্ট্যান্ট চিফ অব স্টাফ (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানপাওয়ার ডিপার্টমেন্ট) মেজর জেনারেল ড. খালেদ আলী কান্দারী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ঠাকুর স্বাগত বক্তব্য দেন।
এরপর কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে গৌরবময় বন্ধুত্বপূর্ণ ইতিহাসের ওপর গুরুত্বরোপ করে বক্তব্য দেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বিএমসির সদস্যদের মনোমুগ্ধকর ব্যান্ড প্রদর্শনী, মনোজ্ঞ শরীর চর্চা ও কুচকাওয়াজ অতিথিদের মুগ্ধ করে। এছাড়া দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিএমসি ম্যাগাজিন-২০২২ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।