‘কখনও ভাবিনি সৌন্দর্য সেবা প্রদানকে পেশা হিসেবে নেব’

 অনলাইন ডেস্ক 
৩০ জুলাই ২০২০, ০৮:১২ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান বাংলাদেশের সৌন্দর্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পারসোনা হেয়ার অ্যান্ড বিউটি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ১৯৯৮ সালে তিন তিনবার ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্র্যান্ড সানসিল্ক শ্যাম্পুর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার হয়েছেন। তিনি ফ্যাশন, বিউটি অ্যান্ড লাইফস্টাইলবিষয়ক মাসিক ‘ক্যানভাস’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি বিউটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনস অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রীতা ভৌমিক

যুগান্তর: কোভিড ১৯-এর এ সময়ে কেমন আছেন?

কানিজ আলমাস খান: কোভিড ১৯-এর এ মহাবিপর্যয়ে সারা বিশ্বের মানুষ যেমন আছে, আমিও তেমন আছি। কাজ বন্ধ করে গৃহবন্দি হয়েছি। যদিও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময়টা ভালোই কাটছে। আমার সঙ্গে অনেক মেয়ে কাজ করেন। তারাও আমার পরিবারের অংশ। কাজেই এক বিশাল পরিবার নিয়েই আমাকে চলতে হচ্ছে। সময়টাকে কাজে লাগাতে বই পড়ছি।

কোভিড ১৯-এর কারণে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক চাকা বন্ধ হয়ে যাবে- এটি আমার কল্পনার মধ্যেও ছিল না। এ মহাবিপর্যয়ের সময়ে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব, সব ধরনের সমস্যার মোকাবেলা করে কোথায় কীভাবে পরিবর্তন আনা যায়, শুধু আমাদের প্রতিষ্ঠান নয়- দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যারা সৌন্দর্য সেবাকেন্দ্র দিয়েছেন তাদের দাঁড়িয়ে থাকার কথাও চিন্তাভাবনা করছি।

যুগান্তর: কীভাবে রূপবিশেষজ্ঞ হয়ে উঠলেন এ সম্পর্কে যদি কিছু বলেন? নিজেকে একজন রূপবিশেষজ্ঞ হিসেবে গড়ে তুলতে কীভাবে তৈরি করেছেন?

কানিজ আলমাস খান: সৌন্দর্যের প্রতি ভালোবাসা থেকেই সৌন্দর্য সেবা প্রদানে আগ্রহী হয়ে উঠি। কখনও ভাবিনি, সৌন্দর্য সেবা প্রদানকে পেশা হিসেবে নিব। প্রথম প্রথম ১০ জন গ্রাহক এলে ৫ থেকে ৬ জনকে সেবা দিতে পারতাম। গ্রাহকের আগ্রহ দেখে বাণিজ্যিকভাবে এ কাজটিকে পেশা হিসেবে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তবে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, এ সেবাটি বাণিজ্যিক নয়। এটি একটি আর্ট বা শিল্প। এটি ভেবেই দিনশেষে আমি দেখার চেষ্টা করেছি, আমার গ্রাহকরা আমাদের সেবাটি পছন্দ করেছেন কিনা? কত টাকা রোজগার হল- এটি নয়। এভাবেই গ্রাহকদের মধ্যে সেবাপ্রাপ্তির চাহিদা বাড়ায় ‘পারসোনা’র শাখার সংখ্যা বেড়ে ১১-তে দাঁড়িয়েছে। এ শাখাগুলোতে গ্রাহকরা কেমন আসছেন, তাদের কীভাবে আরও উন্নতমানের সেবা প্রদান করা যায়- এসব ভেবেই ভালোবাসা দিয়ে কাজটিকে এগিয়ে নিয়ে গেছি। ভালো কাজ করার পেছনে মানুষের ভালোবাসার মোহ আমাকে টেনেছে। বিশ্বে সৌন্দর্যবিষয়ক কী ট্রেন্ড চলছে, নতুন সৌন্দর্য সেবা কী এলো ইত্যাদি বিষয়ে আপডেট থাকার চেষ্টা করেছি। এ বিষয়ে সবসময় পড়াশোনার মধ্যে রয়েছি। মোটকথা, এভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছি।

যুগান্তর: আপনার এ উদ্যোগে সামাজিকভাবে কতটা সাড়া পেয়েছিলেন বলে আপনি মনে করেন? বিউটি পার্লার শিল্পে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে? তারা কি অনুকূল পরিবেশে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন- এ সম্পর্কে যদি কিছু বলেন?

কানিজ আলমাস খান: আমার বাসার বড় একটি কক্ষ ফেসিয়াল-মেকআপ ইত্যাদি বিষয়গুলো আলাদা আলাদাভাবে আর্কিটেক্ট দিয়ে সাজিয়ে ১৯৮৯ সালে শুরু করেছিলাম। গ্রাহকরা ভালো সাড়া দিচ্ছিলেন। গ্রাহকের সংখ্যা বাড়তে লাগল। একটি কক্ষে আর জায়গা সংকুলান হচ্ছিল না। বাণিজ্যিকভাবে বড় রাস্তার পাশে একটি সৌন্দর্য সেবাকেন্দ্র দেয়ার জন্য জায়গা খুঁজছিলাম। গ্রাহক যারা গাড়ি নিয়ে আসবেন তাদের গাড়ি রাখার জায়গা লাগবে। এ ধরনের জায়গা খুঁজে বের করতে সময় লেগেছিল এক বছর। কিন্তু আমার এ চাওয়াটিকে অনেকে ইতিবাচকভাবে নিলেন না। অনেকে ভাবলেন, এটি কোনো ভালো পেশা নয়। বিষয়টি কেউ ভালোভাবে নিচ্ছেন না দেখে মন খারাপ হয়ে যেত। কিন্তু হাল ছাড়িনি। কারণ এক কক্ষে সৌন্দর্য সেবাকেন্দ্র চালানোর সময় হেয়ার এক্সপার্ট হিসেবে সানসিল্ক শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন করেছি। তাই ভাবলাম, এ সৌন্দর্য সেবাটি মানুষ পছন্দ করেন। বিউটি শুধু একজন মানুষের বাইরের সৌন্দর্য নয়Ñ এটি একজন মানুষের সুস্বাস্থ্যের বিষয়ও। একজন মানুষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, লুক পরিবর্তন হওয়ার পর তার মধ্যে আÍবিশ্বাস জšে§। তাদের মধ্যে আÍতৃপ্তি দেখে মনে হয়েছে, এর ভবিষ্যৎ রয়েছে। একজন মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। সৌন্দর্য সেবাকেন্দ্রটি বড় পরিসরে করলে অবশ্যই গ্রাহক পাব। এ ভাবনা থেকেই বড় পরিসরে সৌন্দর্য সেবাকেন্দ্রের জন্য জায়গার খোঁজ করছিলাম। আমাদের কাজ দেখে একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ধানমণ্ডির ২৭ নম্বরে একটি জায়গা দিলেন। বড় পরিসরে কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গ্রাহকের সংখ্যা বাড়তে থাকল।

সৌন্দর্য মানে ভেতরের সৌন্দর্যকে বের করে আনা, যা সারা জীবন থাকবে। তাদের শারীরিক সুস্থতার কথা ভেবে জিম তৈরি করলাম। ক্লান্তি দূর করার জন্য স্পা তৈরি করলাম। বিষণœতা, দুশ্চিন্তা দূর করে মানসিক প্রশান্তি দেয়া, নতুন শক্তি নিয়ে কাজ করার জন্য ম্যাসাজ ও সার্ভের কাজ শুরু করি। সুন্দর, আÍবিশ্বাস একজন মেয়েকে মনের শক্তি দিবে। প্রায়ই মেয়েদের বলা হয়, তোমরা এটি পারবে না-ওটি পারবে না। এ সীমানার বাইরে বেরুতে পারবে না। দুশ্চিন্তা, শারীরিক দুর্বলতা একজন মেয়েকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তোলে। কাজে শক্তি পায় না। মেয়েদের মনোবল ফিরিয়ে দেয়ার জন্য এ বিভাগগুলো খুলেছি।

এসিড সারভাইভরসদের মনোবল, আÍবিশ্বাস এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে কাজ করেছি। এজন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছি। দেখেছি, এসিড ভিকটিমের সংখ্যা কম নয়। ওদের আমাদের প্রোগামে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। প্রথম প্রথম ওরা মুখ খোলেনি। ভয়ে ভয়ে ওদের বলেছি, বিউটিফিকেশনের ওপর প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী কিনা। ওরা প্রথম প্রথম হতাশ হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে, যে মানুষটি তার এ ক্ষতি করেছে সে খারাপ। সমাজ খারাপ নয়। যা গেছে গেছে। এখান থেকে ওরাও ঘুরে দাঁড়াতে পারে বা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে। কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে ওদের হতাশা দূর করে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস জুগিয়েছি। ওদের প্রশিক্ষণ দেয়া ও গ্র“মিং করা হয়েছে। এভাবে ওদের মধ্যে আÍবিশ্বাস তৈরি করেছি। ওরা বেঁচে থাকার সাহস পেয়েছে। জীবনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছে। একজন মানুষ ওকে অসুন্দর করে দিয়েছে এসিড নিক্ষেপ করে, সেই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আরেকজন মানুষের সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে। এটি ভেবে যাতে ওরা মনে কষ্ট না পায় প্রথমে ওদের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কাজ না করিয়ে অন্য দিকের কাজগুলো করিয়েছি। পরবর্তী সময়ে ওদের মেকআপ করার কাজে যুক্ত করা হয়েছে। এখন তারা নিজের খরচ চালানোর পাশাপাশি বাবা-মাকে আর্থিক সহযোগিতা করছে।

ভাবছি, কোভিড ১৯-এর পরে ওদের প্রশিক্ষণ দিব আগামীতে কাজ করার জন্য।

যুগান্তর: সরকার ক্ষুদ্র, মাঝারি উদ্যোক্তাদের এ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে ২০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিবে। তার মধ্যে ক্ষুদ্র, মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের শতকরা ৫ ভাগ প্রণোদনা দেয়া হবে। এর ফলে পার্লার শিল্পের নারী উদ্যোক্তারা কতটা উপকৃত হবেন বলে আপনি মনে করেন?

কানিজ আলমাস খান:  কোভিড-১৯ এর শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রদানের জন্য। অনেক ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তার ব্যাংক হিসাব, ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় তারা এর সুযোগ পাননি। এটি ব্যাংকের নিরাপত্তা, স্বচ্ছতার জন্য দরকারÑ এটিও বুঝি। হঠাৎ করোনা মহাবিপর্যয়ের সময়ে এত নিয়মকানুন মেনে প্রণোদনা নেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। এখন যদি শর্ত শিথিল করে এ নারী উদ্যোক্তাদের সামান্য আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়ান তাহলে এরা উপকৃত হবেন। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ যাই বলি না কেন- সবাই ৪ মাস ধরে কাজ বন্ধ করে গৃহবন্দি হয়েছি। একটি প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৫ থেকে ২০ জন কর্মী রয়েছে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে শুধু একা নয়- অনেক মানুষের জীবন ধারণ চলে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা বিউটি পার্লারের কাজ করেন বিকাশ নম্বরে তাদের সামান্য অর্থ পাঠিয়েছি। বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে সরকারিভাবে নতুন প্রণোদনা যদি তারা পায় তাহলে তারা আবার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রয়াস পাবে। আমাদের বেশি চাহিদা নেই। অল্প টাকাতেও কাজ চালিয়ে নেয়া যাবে। অনেকে বড় ব্যবসাকে ছোট পরিসরে নিয়ে এসেছে। অনেকে বন্ধ করে দিচ্ছে। একটু আর্থিক সাহায্য পেলে বেঁচে যাবে তারা।

যুগান্তর: আপনি সৌন্দর্য সেবাকেন্দ্র ‘পারসোনা’ প্রতিষ্ঠা করেছেন? এর মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে? কোভিড ১৯-এর কারণে বিশ্বজুড়ে পার্লার শিল্পে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়েছে। এ সমস্যা কীভাবে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে আপনি মনে করেন?

কানিজ আলমাস খান: কোভিড ১৯-এর কারণে বিশ্বজুড়ে সমস্যা। ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান সব কিছু থেমে গেছে। এরপরও চেষ্টা করছি, মেয়েদের নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। এক-দু’মাস পর হয়তো আমার জন্যও চলা কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। নতুনভাবে মানিয়ে নিতে হবে। সময়ের চাহিদা অনুযায়ী, নিজেদের তৈরি করতে হবে। এতদিন যেভাবে চলে আসছি সময়ের চাহিদার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারলে আবারও এগুতে পারব।

যুগান্তর: কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা? সে সম্পর্কে যদি কিছু বলেন?

কানিজ আলমাস খান: পুরস্কার আরও ভালো কাজ করার আগ্রহ বাড়ায়। আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। অ্যাওয়ার্ড আমার ভালো কাজ করতে শক্তি জুগিয়েছে। এগিয়ে যাওয়ার সাহস দিয়েছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিজনেস অ্যাওয়ার্ড এবং ভারতের ওয়ার্ল্ড লিডারশিপ কংগ্রেস থেকে ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। এছাড়া ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর সাউথ এশিয়ান পার্টনার সামিট এবং বিজনেস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। পেয়েছি আরটিভি পন্ডস আলোচিত নারী অ্যাওয়ার্ড। এছাড়াও অন্যান্য অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছি।

যুগান্তর: ২০০৯ সালে ভারতে ওয়ার্ল্ড লিডারশিপ কংগ্রেস থেকে ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি সম্পর্কে যদি কিছু বলেন?

কানিজ আলমাস খান: ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড লিডারশিপ কংগ্রেস আন্তর্জাতিকভাবে খোঁজেন কে কোথায় ভালোভাবে কাজ করছে। মাহমুদ খুরশিদ ভাই আমাকে এ সংবাদটি দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি যেভাবে ভালো কাজ করছেন ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী এ গ্র“পে পড়েন?’ উনার কথা অনুযায়ী মেইলে আমাদের কাগজপত্র পাঠিয়ে দিই। বিচারকমণ্ডলী যাচাই-বাছাই করে আমার প্রতিষ্ঠানকে অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করেন। ভারতের মুম্বাইতে আমাদের যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

যুগান্তর: বাংলার ফ্যাশন জগতকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আপনার অবদান অনেক। ২০০৫ সালে আপনি প্রথম বাংলা ফ্যাশন পত্রিকা ‘ক্যানভাস’ প্রকাশ করেন? এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?

কানিজ আলমাস খান: দৈনিক পত্রিকা এবং ম্যাগাজিনের বিউটি এবং ফ্যাশন পার্টের বিভিন্ন অংশগুলো আমরা দেখছিলাম। বিউটি অ্যান্ড ফ্যাশন নিয়ে কাজ করছিলাম। আমরা সারাক্ষণ বিউটি অ্যান্ড ফ্যাশন নিয়ে কাজ করছি তাহলে আমরা নিজেরাও একটি পত্রিকা বের করতে পারি বিউটি এবং ফ্যাশনের এ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে।

যারা ভালো লিখেন এ পত্রিকায় তাদের যুক্ত করা হয়েছে। ফ্যাশন নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সহযোগিতা ও মিলিত প্রচেষ্টায় ফ্যাশন, বিউটি অ্যান্ড লাইফস্টাইল নিয়ে ‘ক্যানভাস’ নামে একটি মাসিক পত্রিকা বের করি। আমি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি।

যুগান্তর: আপনার প্রিয় কয়েকজন রূপবিশেষজ্ঞদের কথা যদি বলেন? দেশ অথবা দেশের বাইরে?

কানিজ আলমাস খান: দেশে যারা ভালো কাজ করছেন তারা সবাই আমার প্রিয়। বিদেশে রূপবিশেষজ্ঞদের মধ্যে ভারতের মিকি কন্ডাক্টার, নম্রতা সনি, আমেরিকার ববি ব্রাউনের ন্যাচারাল মেকআপ এবং বই, প্রোডাক্ট সবকিছুই আমার পছন্দের। এরা প্রত্যেকে একেকটি বিষয়ে ভালো করেছেন।

যুগান্তর: আপনার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

কানিজ আলমাস খান: আপনাকেও ধন্যবাদ।
 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন