করোনা পরিস্থিতিতে ই-কমার্স খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে

 সংবাদ বিজ্ঞপ্তি 
১২ জুলাই ২০২১, ০৬:১৯ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেছেন, দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে ই-কমার্স খাত। 

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে যুক্ত করেছে নতুন ধারা, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে তরুণ প্রজন্মের জন্য, নতুন উদ্যোক্তাদের যুক্ত করেছে ই-কমার্সের সাথে এবং নানাভাবে সমৃদ্ধ করে চলেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণের যাত্রাকে। 

আর দেশের ই-কমার্সের সফল এ পথ পরিক্রমায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে দারাজ বাংলাদেশ। দেশের বৃহত্তম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেশের অসংখ্য ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সেতুবন্ধনে কাজ করছে দারাজ। 

এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। এর বিস্তারিত বিবরন নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

প্রশ্ন: বাংলাদেশ ই-কমার্স খাত প্রবৃদ্ধির অগ্রগতির ধারায় রয়েছে। দেশের ই-কমার্স খাতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আপনার ভাবনা কী?  

উত্তর: বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতকে আমরা এখন সম্ভাবনায় একটি খাত বলছি। আর এর পেছনে ভিত্তি হিসেবে কিন্তু কাজ করেছে একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধি রেখা। আমরা এখন প্রত্যাশা করছি আগামী পাঁচ বছরে ই-কমার্সে পাঁচ কোটি গ্রাহক হবে। আমরা সবাই যে যার জায়গা থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছি। ই-কমার্স খাত এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে এবং সামনের দিনগুলোতে এ ভূমিকা আরও অনেক বেশি প্রকট হবে। এখন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের ই-কমার্স খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করছে। এটাতো আমাদের এ খাতের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। 

জার্মান পরিসংখ্যান পোর্টাল স্ট্যাটিস্টা জানিয়েছে, চলতি বছরে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের আকার ফুলে-ফেঁপে দাঁড়াবে ১৯৫ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি, যা টাকার হিসাবে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সাল নাগাদ এই খাতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ই-কমার্স বাণিজ্যের বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে ৪৬তম অবস্থানে। 

ছোট ও মাঝারি অনেক উদ্যোক্তা এখন নিজেদের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর সাথে নিজেদের যুক্ত করছেন। ক্রেতাদেরও আস্থা তৈরি হচ্ছে তাদের পণ্যে। এখন আমাদের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রচেষ্টা ও সঠিক কৌশলের মাধ্যমে নিজেদের ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করতে হবে। আমাদের দেশজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়ছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ডেলিভারির সক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সমানতালে বাড়ছে ডিজিটাল পেমেন্ট অবকাঠামো। এগুলো কিন্তু ই-কমার্স খাতের উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।  

তবে, প্রযুক্তিগত রূপান্তরের ওপরও ভবিষ্যতে এ খাতের অনেককিছু নির্ভর করবে। এখন ফোরজির দিন চলছে, সামনে ফাইভজি আসবে, বাড়বে ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবার পরিমাণ। মানুষও আরও প্রযুক্তির ফলে সৃষ্ট সুবিধা নিতে অভ্যস্ত হবেন। বাড়বে বিনিয়োগ। এ সবকিছুই কিন্তু ই-কমার্স খাতের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের সূচক। 

প্রশ্ন: কোন বিষয়গুলো ই-কমার্স খাতে দারাজের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে? 

উত্তর: দেশের ই-কমার্স খাতে দারাজের যাত্রা ঠিক সহজ কোনো পথ ছিলো না। আমাদের একই সাথে প্রবৃদ্ধির দিকে নজর রাখতে হয়েছে, পাশাপাশি টেকসই ব্যবসায়িক অবকাঠামো তৈরি করতে হয়েছে। মানসম্পন্ন সেবা প্রদানের মাধ্যমে আমাদের ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে হয়েছে। 

ই-কমার্স খাত শুরুতে এতো বড় ছিলো না। এক্ষেত্রে, আমাদের অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু আমি যদি এ যাত্রার পেছনে তাকাই আমরা গর্বিত অনুভব করি।  একটা সময় আমরা দিনে পাঁচশ’ প্যাকেজ ডেলিভারি করতাম, এখন এটা এক লাখ বিশ হাজারের বেশি। দারাজ পরিবারের সততা, নিষ্ঠা, উদ্যম ও উদ্ভাবনী কৌশলের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। আমাদের প্রবৃদ্ধির পেছনে আমরা চারটি বিষয়ের কথা বলতে পারি: প্রযুক্তি, সঠিক ব্যবসায়িক মডেল, দক্ষতা এবং প্রতিশ্রুতি। 

প্রযুক্তিগতভাবে আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি নিজেদেরকে এগিয়ে রাখতে। ই-কমার্স খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নিয়ে আসার মানসিকতা থাকা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, বলতে হবে এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে সঠিক ব্যবসায়িক মডেলে ব্যবসা পরিচালনার কথা। আমরা কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছে, এখনও এগিয়ে যাচ্ছি। যে পরিকল্পনায় আমরা কিন্তু শুধুমাত্র আমাদের নিজেদের প্রবৃদ্ধি নিয়ে ভাবিনি বা ভাবছি না, সেখানে সম্পূর্ণ ইকোসিস্টেম ও অবকাঠামোর উন্নয়নও কিন্তু গুরুত্ব পেয়েছে। 

কারণ, আমরা মনে করি, হঠাৎ করে একা এগিয়ে গেলে সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না, আমাদের সবাইকে নিয়ে, পুরো ইকোসিস্টেম নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যে ইকোসিস্টেমে থাকবে ক্রেতা, উদ্যোক্তা সহ সকল অংশীদারগণ – সবাই এর সুবিধাভোগী হবেন।  আর টেকসই এ ইকোসিস্টেম তৈরিতে কিন্তুতে আমরা ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করে যাচ্ছি। এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে। 

আর পাশাপাশি, আমাদের সেবার মানোন্নয়নে আমরা যেমন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম, তার থেকে এক মুহূর্তও বিচ্যুত হয়নি। বরং এটা আরও দৃঢ় হয়েছে। আর এজন্যই আমরা দেশজুড়ে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি। 

প্রশ্ন: কোভিড-১৯ বাংলাদেশের ই-কমার্স প্রবৃদ্ধিতে কি ধরনের প্রভাব ফেলেছে? 

উত্তর: কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারি পৃথিবীজুড়েই অধিকাংশ খাতকেই নানাভাবে বিপর্যস্ত করেছে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি খাত কিন্তু এর মধ্যে এগিয়ে গিয়েছে। ভালোর যেমন খারাপ দিক থাকে, তেমনি খারাপেরও কিছু ভালো দিক থাকে। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ত্বরাণ্বিত হওয়াকে আমরা বলতে পারি এর ভালো দিক হিসেবে। 

এর অবশ্য কারণও রয়েছে, এ অতিমারির মধ্যে প্রযুক্তিই কিন্তু আমাদের জীবনযাত্রাকে সচল রেখেছে সেটা বাসায় বসে শিক্ষাগ্রহণ থেকে শুরু করে অফিসের কাজ করা, সবকিছুতেই। তেমনি কেনাকাটাও কিন্তু মানুষ ঘরে বসে করেছেন। বাসার পাশের ছোট ছোট মুদি দোকান ও রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে বড় মার্ট এবং রেস্টুরেন্ট সবাই  অনলাইড ডেলিভারি করছে। এটা কিন্তু ই-কমার্সের প্রবৃদ্ধির অন্যতম কারণ।  

ই-ক্যাবের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে অনলাইনে নিত্যপণ্যের বেচাকেনা ৩০০ শতাংশ বেড়েছে। আর সামগ্রিকভাবে গত বছর এই খাতের ব্যবসা বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ, যেখানে কোভিডের আগে ই-কমার্সের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২০-২৫ শতাংশ। ২০২০ সালে ই-কমার্স খাতে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। 

প্রশ্ন: দারাজ কীভাবে দেশের রিটেইলার ও এসএমই গুলোকে সহায়তার পরিকল্পনা করছে? বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতকে তুলে ধরতে কি ধরনের নীতিমালা প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন? 

উত্তর: দারাজে এখন প্রায় ৪০ হাজার বিক্রেতা রয়েছে। আমাদের যাত্রায় আমরা যেমন ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি, একইসাথে বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেজি বিক্রেতাদের। দারাজ কিন্তু বিক্রেতাদের সবসময় সহায়তা দিয়ে আসছে। কোভিড মহামারিতে ক্রেতাদের অনলাইনে পণ্য কেনার চাহিদাকে মাথায় রেখে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী ই-কমার্সে এসেছেন। 

এমন সব উদ্যোক্তাদের জন্য এ বছর আমরা দ্বিতীয় বারের মতো সেলার মৈত্রী প্রোগ্রাম নিয়ে এসেছি। যার লক্ষ্য অনলাইনে কার্যক্রম শুরু করার জন্য উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান। এর মধ্যে রয়েছে ভেরিফিকেশনের পরে ৩০ দিনের জন্য শূন্য শতাংশ কমিশন, সাপ্তাহিক পেমেন্ট, সাইন-আপের সময় বিনামূল্যে প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল এবং নতুন বিক্রেতাদের জন্য ২৪ ঘণ্টার গ্যারান্টিযুক্ত ভেরিফিকেশন। আমরা আশা করছি, আমাদের এ উদ্যোগের মাধ্যমে ৪৮ হাজার বিক্রেতা সুবিধা পাবেন। 

গত বছর আমরা ৩০ হাজারেরও বেশি এসএমই’র পাশে দাঁড়িয়েছিলাম এবং উদ্যোক্তাদের সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সহায়তায় এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। এছাড়াও, বিক্রেতারা সাইন-আপ করে মাত্র ২৪ ঘণ্টার দারাজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির সুযোগ দিচ্ছি আমরা। 

আর, প্রত্যাশা অনুযায়ী পণ্য বিক্রি না হলে সমস্যা চিহ্নিতকরণে বিক্রেতাদের সহায়তাও প্রদান করছি। আর ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে দারাজ বিক্রেতাদের সর্বনিম্ন এক লাখ থেকে সর্বোচ্চ চল্লিশ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুবিধা প্রদান করছে। 

এখন এ খাতের আরও দ্রুত সম্প্রসারণসহ পুরো ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে আমাদের কার্যকরী নীতিমালা থাকতে হবে। আমাদের বিক্রেতারা যে যার মতো ব্যবসা করছে। এক্ষেত্রে, ট্রেড লাইসেন্স ও নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তা না হলে তাদের তদারক করা সম্ভব না। পাশাপাশি, ক্রস বর্ডার নীতিমালা হলে আমদানি-রপ্তানি দুই ক্ষেত্রেই এটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। 

এছাড়াও, ই-কমার্সের মূল পরিশোধের খরচ নিয়েও সংশ্লিষ্টদের ভাবা উচিৎ। অনেকক্ষেত্রে এটা মুনাফার চেয়েও বেশি হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে আমার মনে হয়, বৈশ্বিকভাবেও আমাদের ই-কমার্স খাত সফল হবে। 

প্রশ্ন: দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টমের উন্নয়নে দারাজ কী ভূমিকা পালন করছে? 

উত্তর: আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলি, তা বাস্তবায়নের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে ই-কমার্স খাতের অবকাঠামোর উন্নয়ন। আমি আগের উত্তরেও বলেছি, দারাজ ক্রেতা-বিক্রেতা সহ সকল অংশীদার ও সম্পূর্ণ অবকাঠামোর প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। 

আমরা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নিয়ে যেমন কাজ করছি, তেমনি অবকাঠামোর উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করে চলেছি। এটা কিন্তু সামগ্রিকভাবে পুরো ইকোসিস্টেমে প্রভাব ফেলছে। দারাজ এর সকল অংশীদারদের নিয়ে কাজ করছে। আমরা একদিকে ক্রেতাদের যেমন ই-কমার্সের ব্যাপারে সচেতন করে তুলছি, আবার বিক্রেতাদের সুযোগ করে দিচ্ছি তাদের ব্যবসার প্রসারে। 

আমরা দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তরের যাত্রায় সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রাখতে চাই। আর সে লক্ষ্যেই কিন্তু দারাজ পুরো ইকোসিস্টেম নিয়ে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও আমরা নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের অংশীদারদের নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার যাত্রা অব্যাহত রাখবো।

প্রশ্ন: ই-কমার্স ইকোসিস্টেমে নানা ধরনের সেবা যুক্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে, নতুন সংযোজন হলো দারাজের হাংরিনাকি অধিগ্রহণ। আপনি কী মনে করেন, আগামী ৫ বছরে দেশের ফুড ডেলিভারি খাতের কীভাবে বিবর্তন ঘটবে, আর এক্ষেত্রে, হাংরিনাকি কী ভূমিকা পালন করবে? 

উত্তর: দারাজ গ্রাহকদের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনতে বদ্ধপরিকর। এজন্য, আমাদের অন্যতম একটি লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের ওয়ান-স্টপ সল্যুশন প্রদান। আর এ বিশ্বাস থেকে আমরা হাংরিনাকি অধিগ্রহণ করেছি। আমরা আশাবাদী, ই-কমার্স অবকাঠামো, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও মানবসম্পদে সঠিক বিনিয়োগের মাধ্যমে হাংরিনাকির সেবাকে আমরা আরও উন্নত ও সুসংহত করতে পারবো, যা দেশের ফুড ডেলিভারি খাতের সম্প্রসারণেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। 

অনলাইন ডেলিভারি ফুড ব্যবসার সম্ভাবনা অনেক, প্রবৃদ্ধির অসংখ্য সুযোগ রয়েছে এখানে। সেবাখাতের উন্নয়নের পাশাপাশি যা তরুণদের কর্মসংস্থানেও অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এ খাতে অনেক পরিবর্তন আসবে। 

দেশজুড়ে বিস্তৃতি ঘটবে ফুড ডেলিভারি সেবার। এতে করে উদ্যোক্তারা যেমন লাভবান হবে, তেমনি ক্রেতাদের জীবনযাত্রাও সহজ হবে। এ কারণেই দারাজ একটি সুচিন্তিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই ব্যবসায়ে সম্পৃক্ত হওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।  
 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন