২৮ শতাংশ নারীর প্রথম সন্তান ছেলে পছন্দ
বাংলাদেশে নারীরা সন্তান পছন্দের ক্ষেত্রে ছেলে সন্তানকে প্রাধান্য দেয়। মেয়ে সন্তানকে অবমূল্যায়ন করে। ছেলে বা মেয়ে সন্তান পছন্দের ক্ষেত্রে মেয়েকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে প্রচলিত ধারায় ছেলে সন্তান পছন্দের মনোভাব এবং এর ফলে মেয়ে সন্তানদের অবমূল্যায়ন করা হয়। এ বিষয়গুলোকে যদি দ্রুত চিহ্নিত করে সমস্যার সমাধান করা না হয়, তাহলে আগামী দিনে দেশের সামাজিক ও জনসংখ্যাগত পরিস্থিতিকে উলেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), কনসার্নড উইমেন ফর ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট (সিডব্লিউএফডি)-এর সহযোগিতায় এবং নোরাডের অর্থায়নে গ্লোবাল প্রোগামের অধীনে সোম ও মঙ্গলবার গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ব্র্যাক সিডিএমএ-তে দু’দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশে নারী ও মেয়েদের ইতিবাচক চিত্রে মিডিয়ার জন্য ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায়’ বিশিষ্টজনেরা এ কথা বলেন।
সোমবার প্রথম দিনের কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে পক্ষপাতমূলক লিঙ্গ নির্বাচনের প্রচলন নেই, তবে যৌন শনাক্তকরণ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট গুরুতর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই সমস্যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে এমনটি হয়েছে।
সন্তান জন্মের সময় লিঙ্গ অনুপাত এবং লিঙ্গ শনাক্তকরণ প্রযুক্তির ব্যবহার-পক্ষপাতমূলক লিঙ্গ নির্বাচনের পূর্বশর্ত। যা জনসংখ্যাবিদদের দ্বারা ব্যাখ্যা করা নারী থেকে পুরুষ অনুপাতের একটি উদ্বেগজনক হ্রাস হতে পারে। যা বাংলাদেশে বিরাজমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত ২০১৯ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ২৮ শতাংশ নারী তাদের প্রথম সন্তান হিসাবে একজন ছেলে সন্তান পছন্দ করেছেন। সেখানে ২৪ শতাংশ পুরুষের পছন্দও একইরকম।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের উলেখযোগ্য অগ্রগতির পেছনে অনেকটা কৃতিত্বই রয়েছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের। সন্তান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ছেলে সন্তান পছন্দ এবং নারী ও মেয়েদের অবমূল্যায়ন করার এই দৃষ্টিভঙ্গি আমরা সমাজ থেকে অবশ্যই দূর করব। উদ্ভাবনী পন্থা অবলম্বন করে আমাদের যোগাযোগ প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করব।
তিনি আরও বলেন, সমাজ উন্নতি হওয়া সত্তেও, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাগুলো অব্যাহত রয়েছে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা সব নারী ও মেয়েদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ এবং ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
কর্মশালায় পর্যবেক্ষণে ওঠে এসেছে, ছেলে সন্তান পছন্দ এবং মেয়েদের অবমূল্যায়ন করার বিষয়টি নারী ও মেয়েদের জন্মের আগেই প্রভাবিত করে। এটি সারা জীবন ধরে তারা অনুসরণ করে থাকেন।
সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও স্টেশন, নিউজ এজেন্সি, অনলাইন পোর্টাল এবং বিজ্ঞাপন সংস্থা এবং যুব প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন ধরনের মিডিয়ার ২৫ গণমাধ্যমকর্মী এই কর্মশালায় অংশ নেন।
২৮ শতাংশ নারীর প্রথম সন্তান ছেলে পছন্দ
যুগান্তর প্রতিবেদন
২২ জুন ২০২২, ১৮:৪৬:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশে নারীরা সন্তান পছন্দের ক্ষেত্রে ছেলে সন্তানকে প্রাধান্য দেয়। মেয়ে সন্তানকে অবমূল্যায়ন করে। ছেলে বা মেয়ে সন্তান পছন্দের ক্ষেত্রে মেয়েকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে প্রচলিত ধারায় ছেলে সন্তান পছন্দের মনোভাব এবং এর ফলে মেয়ে সন্তানদের অবমূল্যায়ন করা হয়। এ বিষয়গুলোকে যদি দ্রুত চিহ্নিত করে সমস্যার সমাধান করা না হয়, তাহলে আগামী দিনে দেশের সামাজিক ও জনসংখ্যাগত পরিস্থিতিকে উলেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), কনসার্নড উইমেন ফর ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট (সিডব্লিউএফডি)-এর সহযোগিতায় এবং নোরাডের অর্থায়নে গ্লোবাল প্রোগামের অধীনে সোম ও মঙ্গলবার গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ব্র্যাক সিডিএমএ-তে দু’দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশে নারী ও মেয়েদের ইতিবাচক চিত্রে মিডিয়ার জন্য ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায়’ বিশিষ্টজনেরা এ কথা বলেন।
সোমবার প্রথম দিনের কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে পক্ষপাতমূলক লিঙ্গ নির্বাচনের প্রচলন নেই, তবে যৌন শনাক্তকরণ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট গুরুতর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই সমস্যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে এমনটি হয়েছে।
সন্তান জন্মের সময় লিঙ্গ অনুপাত এবং লিঙ্গ শনাক্তকরণ প্রযুক্তির ব্যবহার-পক্ষপাতমূলক লিঙ্গ নির্বাচনের পূর্বশর্ত। যা জনসংখ্যাবিদদের দ্বারা ব্যাখ্যা করা নারী থেকে পুরুষ অনুপাতের একটি উদ্বেগজনক হ্রাস হতে পারে। যা বাংলাদেশে বিরাজমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত ২০১৯ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ২৮ শতাংশ নারী তাদের প্রথম সন্তান হিসাবে একজন ছেলে সন্তান পছন্দ করেছেন। সেখানে ২৪ শতাংশ পুরুষের পছন্দও একইরকম।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের উলেখযোগ্য অগ্রগতির পেছনে অনেকটা কৃতিত্বই রয়েছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের। সন্তান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ছেলে সন্তান পছন্দ এবং নারী ও মেয়েদের অবমূল্যায়ন করার এই দৃষ্টিভঙ্গি আমরা সমাজ থেকে অবশ্যই দূর করব। উদ্ভাবনী পন্থা অবলম্বন করে আমাদের যোগাযোগ প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করব।
তিনি আরও বলেন, সমাজ উন্নতি হওয়া সত্তেও, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাগুলো অব্যাহত রয়েছে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা সব নারী ও মেয়েদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ এবং ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
কর্মশালায় পর্যবেক্ষণে ওঠে এসেছে, ছেলে সন্তান পছন্দ এবং মেয়েদের অবমূল্যায়ন করার বিষয়টি নারী ও মেয়েদের জন্মের আগেই প্রভাবিত করে। এটি সারা জীবন ধরে তারা অনুসরণ করে থাকেন।
সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও স্টেশন, নিউজ এজেন্সি, অনলাইন পোর্টাল এবং বিজ্ঞাপন সংস্থা এবং যুব প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন ধরনের মিডিয়ার ২৫ গণমাধ্যমকর্মী এই কর্মশালায় অংশ নেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2024