নতুন নারী উদ্যোক্তাদের ৮ বছর কর অবকাশ সুবিধা দাবি
নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৬-৮ বছর পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে উইমেন এন্টারপ্রিনেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ওয়েব)। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার ওয়েবের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
নারীবান্ধব করনীতি প্রণয়ন করার ওপর জোর দিয়ে ওয়েব বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত ভ্যাট ও কর মওকুফ করা হয়েছে, যা ১ কোটি টাকা করা প্রয়োজন। নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসার ধরন অনুযায়ী ব্যবসা শুরু থেকে ৬-৮ বছর পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা রাখা হলে উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। এম এস এম ই ও এস এম ই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কমপক্ষে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত আয়সীমা করা প্রয়োজন। নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে বুটিক, বিউটি পার্লার এবং ক্যাটারিং, রেস্তোরাঁ, খাদ্য ও দেশীয় পণ্য ব্যবসাসহ পরিষেবা খাতে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হলে উদ্যোক্তরা উৎসাহিত হবেন। এছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের আমদানি করা যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের ওপর আরোপিত আমদানি কর হ্রাস করা প্রয়োজন।
ওয়েবের বাজেট বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার প্রভাব মোকাবিলায় নারী উদ্যোক্তাদের ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ভ্যাট ও ট্যাক্স মওকুফ করা হলে এবং ট্রেড লাইসেন্স ফি ও নবায়ন ফি ৫০ শতাংশ হ্রাস করা হলে নারী উদ্যোক্তারা কোভিডের ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবেন। ঢাকার বাইরের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অনলাইন মার্কেটিং, অনলাইন প্রোডাক্ট প্রমোশন ও অনলাইনে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা থাকতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের নিরাপত্তা ও ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থা করা হলে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ তহবিলের ব্যবস্থা করারও দাবি জানিয়েছে ওয়েব।
বিবৃতিতে বলা হয়, এসএমই খাতের উন্নয়নে জামানত ছাড়া ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোক্তারা ঋণ পাচ্ছেন না। এ ব্যপারে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
নারী উদ্যোক্তারা যাতে কম সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন, সে জন্য সুদহার কমানোর দাবিও জানায় সংস্থাটি।
সংস্থাটির দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- রফতানি খাতের সঙ্গে জড়িত নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা, আমদানি করা যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের ওপর আরোপিত আমদানি কর হ্রাস করা, দরিদ্র নারী ও বিধবাদের জন্য বয়স্ক ভাতা বাড়ানো, ইন্টারনেটে নারীদের প্রতি সহিংসতা রোধ করার জন্য নারীদের সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া, ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ এবং স্টার্টআপ বিজনেস খাতে বাজেটে বরাদ্দ প্রদান।
নতুন নারী উদ্যোক্তাদের ৮ বছর কর অবকাশ সুবিধা দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৩ জুন ২০২২, ২০:৩৫:৫১ | অনলাইন সংস্করণ
নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৬-৮ বছর পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে উইমেন এন্টারপ্রিনেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ওয়েব)। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার ওয়েবের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
নারীবান্ধব করনীতি প্রণয়ন করার ওপর জোর দিয়ে ওয়েব বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত ভ্যাট ও কর মওকুফ করা হয়েছে, যা ১ কোটি টাকা করা প্রয়োজন। নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসার ধরন অনুযায়ী ব্যবসা শুরু থেকে ৬-৮ বছর পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা রাখা হলে উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। এম এস এম ই ও এস এম ই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কমপক্ষে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত আয়সীমা করা প্রয়োজন। নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে বুটিক, বিউটি পার্লার এবং ক্যাটারিং, রেস্তোরাঁ, খাদ্য ও দেশীয় পণ্য ব্যবসাসহ পরিষেবা খাতে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হলে উদ্যোক্তরা উৎসাহিত হবেন। এছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের আমদানি করা যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের ওপর আরোপিত আমদানি কর হ্রাস করা প্রয়োজন।
ওয়েবের বাজেট বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার প্রভাব মোকাবিলায় নারী উদ্যোক্তাদের ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ভ্যাট ও ট্যাক্স মওকুফ করা হলে এবং ট্রেড লাইসেন্স ফি ও নবায়ন ফি ৫০ শতাংশ হ্রাস করা হলে নারী উদ্যোক্তারা কোভিডের ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবেন। ঢাকার বাইরের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অনলাইন মার্কেটিং, অনলাইন প্রোডাক্ট প্রমোশন ও অনলাইনে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা থাকতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের নিরাপত্তা ও ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থা করা হলে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ তহবিলের ব্যবস্থা করারও দাবি জানিয়েছে ওয়েব।
বিবৃতিতে বলা হয়, এসএমই খাতের উন্নয়নে জামানত ছাড়া ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোক্তারা ঋণ পাচ্ছেন না। এ ব্যপারে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
নারী উদ্যোক্তারা যাতে কম সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন, সে জন্য সুদহার কমানোর দাবিও জানায় সংস্থাটি।
সংস্থাটির দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- রফতানি খাতের সঙ্গে জড়িত নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা, আমদানি করা যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের ওপর আরোপিত আমদানি কর হ্রাস করা, দরিদ্র নারী ও বিধবাদের জন্য বয়স্ক ভাতা বাড়ানো, ইন্টারনেটে নারীদের প্রতি সহিংসতা রোধ করার জন্য নারীদের সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া, ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ এবং স্টার্টআপ বিজনেস খাতে বাজেটে বরাদ্দ প্রদান।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2024