‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সীমাবদ্ধতা দূর করতে হবে’

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
২৭ জুন ২০২২, ০৮:৫৪ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

সহিংসতার শিকার নারীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ ও এর সংশোধন ২০০৩ আইন হয়েছে। ২০০০ ও এর সংশোধনী ২০০৩-এ সর্বমোট ৩৪টি ধারায় নারী ও শিশুর ওপর সংঘটিত ১১ ধরনের অপরাধের বিচারের বিষয় উল্লেখ রয়েছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ভুক্তভোগী নারীরা আইনি অধিকার পাওয়ার অভিগম্যতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আইনটি নারীবান্ধব করার জন্য এর কাঠামোকে তিনটি আঙ্গিকে পর্যালোচনা করে এ আইনের সীমাবদ্ধতা দূর করতে হবে। পলিসি ব্রিফে এ আইনের চিহ্নিত সীমাবদ্ধতা এবং সুপারিশ পত্রিকায় প্রচারের মাধ্যমে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরা। 

নারীপক্ষ আয়োজিত রোববার সকাল ১১টায় নিজ কার্যালয়ে নাসরীন হক সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ‘নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রকল্প’ শীর্ষক পলিসি ব্রিফ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন।
নারীপক্ষের সদস্য ও প্রকল্প সম্পাদক রীনা রায়ের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন নারীপক্ষের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউ এম হাবিবুন নেসা, অ্যাডভোকেট শাহনাজ আক্তার, অ্যাডভোকেট ফেরদৌসী আখতার, ফরিদা ইয়াছমিন, রওশন আরা প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট শাহানাজ আক্তার পলিসি ব্রিফ উপস্থাপনায় বলেন, শাস্তি দিয়েই অপরাধ দমন করা যাবে না। আইনের বিষয়বস্তুর সীমাবদ্ধতা, আইনের প্রক্রিয়াগত সীমাবদ্ধতা এবং আইন বাস্তবায়নকারী ব্যক্তিদের সীমাবদ্ধতা (দৃষ্টিভঙ্গী ও আচরণগত) এবং সুপারিশ উঠে এসেছে। ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঢাকা মহানগরীতে ২০২১ সালে ঢাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণজনিত ও যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অপরাধে মামলা হয়েছে ২ হাজার ১০৫টি, যা ২০২০ সালে ছিল ১ হাজার ২২৬টি। 
মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের তদন্ত প্রক্রিয়া ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। পাশাপাশি তদন্ত কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতার উন্নয়নের জন্যও পদক্ষেপ নিতে হবে।
রওশন আরা বলেন, সহিংসতার শিকার নারী মামলার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে এবং সামাজিক চাপে আপোষ করতে বাধ্য হয়। 

অনলাইনে যুক্ত নারী পক্ষের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউ এম হাবিবুন নেসা বলেন, ভুক্তভোগী নারীর বিচার নিশ্চিত করার জন্য আইন বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সহিংসতার শিকার নারীর বিচার পাওয়ার অভিগম্যতায় আমাদের আরও কাজ করতে হবে, থেমে থাকলে চলবে না।

রীনা রায় বলেন, এই পলিসি ব্রিফ আমরা মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জমা দিব। সাংবাদিকদের আরও বেশি সক্রিয় থাকা এবং প্রচার করতে হবে। যা সরকারের সঙ্গে অ্যাডভোকেসিতে সহায়তা করবে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন