অভিবাসী নারী শ্রমিকদের নিয়ে সচেতনতা বিষয়ক মতবিনিময় সভা
দেশে ফেরত আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সঠিক সংখ্যা পাওয়া যায় না। বিএমইটি-এর তথ্য ভাণ্ডারে এ বিষয়ক পরিসংখ্যান আপডেট থাকলে যারা এ বিষয় নিয়ে কাজ করেন তাদের তথ্য প্রাপ্তিতে সহযোগিতা হতো। সঠিক তথ্য জানার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে সচল ডেস্ক থাকা প্রয়োজন। দালালদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে জবাবদিহিতা নিশ্চয়তা করা।
সিডব্লিউসিএস-এর আয়োজনে কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ও গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার অর্থায়নে অভিবাসী নারীদের নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বিষয়ক তথ্য বিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
আলোচনায় অংশ নেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্ট-এর কান্টি কোঅর্ডিনেটর বাংলাদেশ-এর মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন, অ্যালায়েন্স ফর উইমেন মাইগ্রেন্ট ভয়েস জোট-এর সহ সভাপতি ফওজিয়া খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমীন, যুগান্তরের সাংবাদিক রীতা ভৌমিক, সভাপতিত্ব করেন সিডব্লিউসিএসের সভাপতি অধ্যাপক ইশরাত শামীম।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্ট-এর কান্টি কোঅর্ডিনেটর বাংলাদেশ-এর মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন বলেন, অভিবাসী নারী শ্রমিকদের জন্য সারা দেশে ৭৪টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। তারা এখান থেকে সঠিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন কিনা তা যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফেরত আসা প্রবাসী নারী শ্রমিকরা যাতে স্বাবলম্বী হতে পারেন এজন্য তারা যে কাজে দক্ষ তাদের রেফারেল লিংকয়েজ-এর মাধ্যমে সম্পৃক্ত করে দেওয়া। সরকারের যে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এ সম্পর্কে তাদের অবগত করা। এ ছাড়াও ফেরত আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকরা যাতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সহজেই ঋণ পেতে পারেন এ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমীনের মতে, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কী কী সেবা রয়েছে তা আমরা তাদেরকে জানাব। যে যে কাজের জন্য উপযোগী তাকে সেই কাজে সহযোগিতা করা হবে। যদি কেউ ব্যবসায় আগ্রহী হন তাদেরকে সেই কাজে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ফওজিয়া খন্দকার জানান, ফিরে আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকরা যাতে আÍমর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে সমাজে বসবাস করতে পারে সেদিকটা আমাদের দেখতে হবে। দেশে ফিরে এলেই তাদের অঙ্গুলি দিয়ে দেখানো হয়, তারা খারাপ। তাদের মর্যাদার জায়গাটাকে আমাদের ফিরিয়ে দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ইশরাত শামীম বলেন, নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হন। পুরুষরা যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে পারেন। সঠিক তথ্যের অভাবে এবং যোগাযোগের প্রক্রিয়া না জানার কারণে নারীরা নিজেদের সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পায় না। এ জন্য বিদেশে কাজ নিয়ে যাওয়ার আগেই তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
মতবিনিময় সভায় ১৬টি সংগঠনের কর্ণধাররা অংশ নেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন পোশাক শ্রমিক ইউনিটি লীগের সভাপতি কাজী রহিমা আক্তার সাথী, সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম, উইমেন্স ইনিশিয়েটিভ ফর সোশ্যাল এডুকেশনের সাধারণ সম্পাদক সাবরিনা আক্তার, ফ্যামিলি টাইসের সাধারণ সম্পাদক খোজিস্তা জোনাকি প্রমুখ।
অভিবাসী নারী শ্রমিকদের নিয়ে সচেতনতা বিষয়ক মতবিনিময় সভা
যুগান্তর প্রতিবেদন
১২ আগস্ট ২০২২, ২০:৫৮:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
দেশে ফেরত আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সঠিক সংখ্যা পাওয়া যায় না। বিএমইটি-এর তথ্য ভাণ্ডারে এ বিষয়ক পরিসংখ্যান আপডেট থাকলে যারা এ বিষয় নিয়ে কাজ করেন তাদের তথ্য প্রাপ্তিতে সহযোগিতা হতো। সঠিক তথ্য জানার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে সচল ডেস্ক থাকা প্রয়োজন। দালালদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে জবাবদিহিতা নিশ্চয়তা করা।
সিডব্লিউসিএস-এর আয়োজনে কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ও গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার অর্থায়নে অভিবাসী নারীদের নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বিষয়ক তথ্য বিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
আলোচনায় অংশ নেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্ট-এর কান্টি কোঅর্ডিনেটর বাংলাদেশ-এর মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন, অ্যালায়েন্স ফর উইমেন মাইগ্রেন্ট ভয়েস জোট-এর সহ সভাপতি ফওজিয়া খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমীন, যুগান্তরের সাংবাদিক রীতা ভৌমিক, সভাপতিত্ব করেন সিডব্লিউসিএসের সভাপতি অধ্যাপক ইশরাত শামীম।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্ট-এর কান্টি কোঅর্ডিনেটর বাংলাদেশ-এর মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন বলেন, অভিবাসী নারী শ্রমিকদের জন্য সারা দেশে ৭৪টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। তারা এখান থেকে সঠিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন কিনা তা যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফেরত আসা প্রবাসী নারী শ্রমিকরা যাতে স্বাবলম্বী হতে পারেন এজন্য তারা যে কাজে দক্ষ তাদের রেফারেল লিংকয়েজ-এর মাধ্যমে সম্পৃক্ত করে দেওয়া। সরকারের যে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এ সম্পর্কে তাদের অবগত করা। এ ছাড়াও ফেরত আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকরা যাতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সহজেই ঋণ পেতে পারেন এ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমীনের মতে, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কী কী সেবা রয়েছে তা আমরা তাদেরকে জানাব। যে যে কাজের জন্য উপযোগী তাকে সেই কাজে সহযোগিতা করা হবে। যদি কেউ ব্যবসায় আগ্রহী হন তাদেরকে সেই কাজে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ফওজিয়া খন্দকার জানান, ফিরে আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকরা যাতে আÍমর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে সমাজে বসবাস করতে পারে সেদিকটা আমাদের দেখতে হবে। দেশে ফিরে এলেই তাদের অঙ্গুলি দিয়ে দেখানো হয়, তারা খারাপ। তাদের মর্যাদার জায়গাটাকে আমাদের ফিরিয়ে দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ইশরাত শামীম বলেন, নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হন। পুরুষরা যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে পারেন। সঠিক তথ্যের অভাবে এবং যোগাযোগের প্রক্রিয়া না জানার কারণে নারীরা নিজেদের সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পায় না। এ জন্য বিদেশে কাজ নিয়ে যাওয়ার আগেই তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
মতবিনিময় সভায় ১৬টি সংগঠনের কর্ণধাররা অংশ নেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন পোশাক শ্রমিক ইউনিটি লীগের সভাপতি কাজী রহিমা আক্তার সাথী, সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম, উইমেন্স ইনিশিয়েটিভ ফর সোশ্যাল এডুকেশনের সাধারণ সম্পাদক সাবরিনা আক্তার, ফ্যামিলি টাইসের সাধারণ সম্পাদক খোজিস্তা জোনাকি প্রমুখ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2024