চায়ের কাপে নান্দনিকতা
শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা যে কোনো ঋতুতেই চায়ের তুলনা মেলা ভার। চা ছাড়া যেমন আড্ডা জমে ওঠে না তেমনি যে কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেও প্রয়োজন ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চা। শীতের সকালে টং দোকানে এক কাপ চা যেন শীত তাড়ানোর মন্ত্র। মন খারাপ কিংবা মন ভালো দিনগুলোতেও চাই এক কাপ চা। সময়ের চাকা ঘুরে পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছু, কিন্তু চায়ের সেই জায়গা নিতে পারেনি কোনো পানীয়। তবে চা রাখার পাত্রতে এসেছে এক বিশাল পরিবর্তন। একটা সময় পর্যন্ত পাতলা কাপ আর তাতে নিচে থাকা পিরিচে করে পরিবেশন করা হতো রং চা কিংবা দুধ চা। অনেকে মাটির পাত্রে শীতের সকালে গুড়ের চা পান করতেন আয়েশ করে। এক রঙা সেই চায়ের কাপের ওপরের অংশে গোলাকার ভাগে করা থাকত হালকা নকশা। পিরিচের বেলাতেও তাই। এখন কিন্তু তেমনটা আর নেই। কাপের রঙের ক্ষেত্রে যেমন পরিবর্তন এসেছে তেমনি আকারের দিক থেকেও। তিন কোনা কিংবা চার কোনাকার চায়ের কাপ যেমন শোভা পায় শোকেসের ধাপে ধাপে তেমনি পিরিচও। আলাদা করে আবার সেট আকারেও পাওয়া যায় চায়ের কাপ আর পিরিচ। এসব কাপ-পিরিচ আলাদাভাবে স্টেইনলেস স্টিলের কারুকাজ করা গোলাকার ফ্রেমে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এর এক পাশে থাকে পিরিচ রাখার আলাদা জায়গা আর তার পাশে চায়ের কেটলি রাখার জায়গা। ছোট পরিসরে অতিথি এলে একবারেই পরিবেশন করা যায় আড্ডায়, চায়ের এ নান্দনিক পসরা। এ ছাড়া যখন বড় পরিসরে চা পরিবেশন করতে হয় তখন এক এক করে চায়ের কাপ প্রস্তুত করা ঝামেলার হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে একসঙ্গে কয়েক গুচ্ছ কাপ আর মিল্ক পট, টি পট, সুগার পটসহ সব কিছু সাজিয়ে নিতে পারেন ট্রের মাঝে। ট্রেসহ ভিন্ন আমেজের এ চায়ের সেট প্রায়শই দেখা যায় দোকানে। বেশ রাজকীয় ডিজাইন করা থাকে এর এক একটি চায়ের কাপ আর পুরো ট্রেজুড়ে। বাদ পড়ে না টি পট কিংবা মিল্ক পটের চারপাশ। সব জায়গায়ই নিখুঁতভাবে শিল্পীর কারুকাজ ফুটে ওঠে। তাই কারুকাজের ওপর নির্ভর করেই চায়ের এ কাপগুলো বেশ ভারী হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গোলাকার হয়ে থাকে এ চায়ের কাপগুলো। কিছু ক্ষেত্রে চার কোনাকার কিংবা আরও ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনেরও হয়ে থাকে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
খোঁজখবর
চায়ের কাপে নান্দনিকতা
শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা যে কোনো ঋতুতেই চায়ের তুলনা মেলা ভার। চা ছাড়া যেমন আড্ডা জমে ওঠে না তেমনি যে কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেও প্রয়োজন ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চা। শীতের সকালে টং দোকানে এক কাপ চা যেন শীত তাড়ানোর মন্ত্র। মন খারাপ কিংবা মন ভালো দিনগুলোতেও চাই এক কাপ চা। সময়ের চাকা ঘুরে পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছু, কিন্তু চায়ের সেই জায়গা নিতে পারেনি কোনো পানীয়। তবে চা রাখার পাত্রতে এসেছে এক বিশাল পরিবর্তন। একটা সময় পর্যন্ত পাতলা কাপ আর তাতে নিচে থাকা পিরিচে করে পরিবেশন করা হতো রং চা কিংবা দুধ চা। অনেকে মাটির পাত্রে শীতের সকালে গুড়ের চা পান করতেন আয়েশ করে। এক রঙা সেই চায়ের কাপের ওপরের অংশে গোলাকার ভাগে করা থাকত হালকা নকশা। পিরিচের বেলাতেও তাই। এখন কিন্তু তেমনটা আর নেই। কাপের রঙের ক্ষেত্রে যেমন পরিবর্তন এসেছে তেমনি আকারের দিক থেকেও। তিন কোনা কিংবা চার কোনাকার চায়ের কাপ যেমন শোভা পায় শোকেসের ধাপে ধাপে তেমনি পিরিচও। আলাদা করে আবার সেট আকারেও পাওয়া যায় চায়ের কাপ আর পিরিচ। এসব কাপ-পিরিচ আলাদাভাবে স্টেইনলেস স্টিলের কারুকাজ করা গোলাকার ফ্রেমে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এর এক পাশে থাকে পিরিচ রাখার আলাদা জায়গা আর তার পাশে চায়ের কেটলি রাখার জায়গা। ছোট পরিসরে অতিথি এলে একবারেই পরিবেশন করা যায় আড্ডায়, চায়ের এ নান্দনিক পসরা। এ ছাড়া যখন বড় পরিসরে চা পরিবেশন করতে হয় তখন এক এক করে চায়ের কাপ প্রস্তুত করা ঝামেলার হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে একসঙ্গে কয়েক গুচ্ছ কাপ আর মিল্ক পট, টি পট, সুগার পটসহ সব কিছু সাজিয়ে নিতে পারেন ট্রের মাঝে। ট্রেসহ ভিন্ন আমেজের এ চায়ের সেট প্রায়শই দেখা যায় দোকানে। বেশ রাজকীয় ডিজাইন করা থাকে এর এক একটি চায়ের কাপ আর পুরো ট্রেজুড়ে। বাদ পড়ে না টি পট কিংবা মিল্ক পটের চারপাশ। সব জায়গায়ই নিখুঁতভাবে শিল্পীর কারুকাজ ফুটে ওঠে। তাই কারুকাজের ওপর নির্ভর করেই চায়ের এ কাপগুলো বেশ ভারী হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গোলাকার হয়ে থাকে এ চায়ের কাপগুলো। কিছু ক্ষেত্রে চার কোনাকার কিংবা আরও ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনেরও হয়ে থাকে।