শেরপুর আ.লীগের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন চন্দন
যৌন হয়রানি ও অশালীন মন্তব্যে অতিষ্ঠ নারী নেত্রীরা * মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে লজ্জাজনক হার
মুহাম্মদ আবুল কাশেম, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
২৫ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে টানা দুবার লজ্জাজনকভাবে হেরেছেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল। এছাড়া রাজাকার ও বিএনপি-জামায়াত নেতাদের টাকার বিনিময়ে কমিটিতে পদ-পদবি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
পাশাপাশি দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, সরকারি গুদামে বিভিন্ন রকম ব্যবসা, সাবরেজিস্ট্রি অফিসে চাঁদাবাজিসহ নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকারও অভিযোগ উঠেছে চন্দন কুমারের বিরুদ্ধে। সবচেয়ে ভয়াবহ অভিযোগ হচ্ছে, মহিলা আওয়ামী লীগ এবং যুব মহিলা লীগের নেত্রীদের যৌন হয়রানি ও তাদের সম্পর্কে অশালীন ভাষায় মন্তব্য করেন চন্দন কুমার পাল।
এসব বিষয়ে গত ১২ নভেম্বর দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল খালেক। অভিযোগে দাবি করা হয়, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল জেলার ৫২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নেতাসহ বিতর্কিতদের মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে জনপ্রতি ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা করে নিয়েছেন।
তাদের বেশির ভাগই নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার যারা পাননি তাদের টাকাও ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। এছাড়া রাজাকার, বিএনপি-জামায়াত নেতাদের টাকার বিনিময়ে কমিটিতে পদ-পদবিতে রাখা, দলবাজি, টেন্ডারবাজি, সরকারি গুদামে বিভিন্ন রকম ব্যবসা, সাবরেজিস্ট্রি অফিসে চাঁদাবাজিসহ নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত চন্দন কুমার পাল। এমনকি কখনো উপজেলায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণও করেন না তিনি। এতে করে ক্ষমতায় থেকেও দলকে ইমেজ সংকটে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, শেরপুরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল। এমন কোনো কাজ নেই যা তিনি করেন না এবং তার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। গত নির্বাচনে দুজন বিএনপির পদ-পদবিধারী নেতাকে নৌকার টিকিট দিয়েছেন ঘুসের বিনিময়ে। অন্যদিকে ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতাদের দল থেকে বিতাড়িত করেছেন।
এক কথায় চন্দন কুমার একাই শেরপুর আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোমর ভেঙে দিয়েছেন বলে দাবি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। চন্দন কুমারের নানা অনিয়মের কারণে বর্তমানে আওয়ামী লীগ শেরপুরে ইমেজ সংকটে রয়েছে। এ নিয়ে তার ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে কথা বলতে পারছেন না।
নলকোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, চন্দন কুমার পাল পদে বসে থেকে শেরপুর আওয়ামী লীগের কোমর ভেঙে দিয়েছেন। গত নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের বাদ দিয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের বিএনপি নেতা ওবাইদুল, ধানশাইল ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুর রহমান এনামুলকে নৌকার প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করিয়েছেন।
অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পরও তাদের আর বাদ দেওয়া হয়নি। অথচ তাদের চেনেন না এবং তারা কখনো দলীয় প্রোগ্রামে অংশ নেননি বলে ডিও দিয়েছেন শেরপুর-৩ আসনের সংসদ-সদস্য ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফজলুল হক। কিন্তু এতে কোনো কাজ হয়নি। এরা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শে বিশ্বাসী নয়। নৌকার প্রতীক ও মুজিব কোট পরে আওয়ামী লীগ সাজলেও হৃদয়ে-বুকে ধারণ করেন জিয়াউর রহমানের আদর্শ।
শেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন নাহার বলেন, চন্দন কুমার পালের জন্য নারীদের রাজনীতি করা দায় হয়ে উঠেছে। তিনি সন্ধ্যা হলে মদ খেয়ে পড়ে থাকেন, যুব মহিলা লীগ ও আওয়ামী লীগের নারী নেত্রীদের যৌন হয়রানি করেন ও অশালীন ভাষায় কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমি তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছি, আন্দোলনও করেছি, তারপরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন শুধু ভরসা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
শামসুন নাহার দাবি করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে সদ্য শেষ হওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন এবং এর আগে নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েও জামানত হারিয়েছেন। চন্দন কুমার পাল চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা ধরনের অপকর্মে জড়িত উল্লেখ করে তার হাতে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন যুব মহিলা আওয়ামী লীগের এই সভাপতি।
আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, কমিশন ও চাঁদা না পেলে সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজেও বাধা প্রদান করেন চন্দন কুমার পাল। চলতি বছরের শুরুতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছ থেকে পুরাতন লোহার ব্যবহার অযোগ্য ভাঙাচোরা মালামাল টেন্ডারের মাধ্যমে নিলামে নিয়েছেন কুষ্টিয়ার টিপু নামে এক ব্যবসায়ী।
এ পুরাতন মাল নিতে চাঁদা দাবি করেন চন্দন কুমার পাল। চাঁদা না দেওয়ার কারণে তিন মাস এসব পুরাতন মালামাল আটকে রাখেন তিনি। পরে মোটা অঙ্কের টাকা এবং একজন সাবেক মন্ত্রীর ফোন পেয়ে মালামাল ছেড়ে দেন চন্দন কুমার পাল।
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল খালেক যুগান্তরকে বলেন, চন্দন কুমার সাহেব টানা ২০ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। এর সুবিধা নিয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে তিন দফায় মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন। এ কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে টানা দুবার লজ্জাজনকভাবে হেরেছেন।
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলে দলীয় ও বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়ন বাণিজ্য করে হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমাণ টাকা। এছাড়া বিএনপি-জামায়াতের নেতা ও অযোগ্যদের টাকার বিনিময়ে দলে টেনে শেরপুর আওয়ামী লীগের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন চন্দন কুমার পাল।
জানতে চাইলে সব অভিযোগ অস্বীকার করে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল যুগান্তরকে বলেন, যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা কিছু দুষ্ট লোকের পরিকল্পিত অপবাদ। তারা আগামী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আমার পিছু লেগেছে। তা ছাড়া আমি ৩০ বছর ধরে ডায়াবেটিস রোগী, আমি কোনো নারীকে যৌন হয়রানি করিনি বা কুপ্রস্তাবও দেইনি। আমি মদও পান করি না।
তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্য কথাটি ঠিক নয়। কারণ ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের স্বাক্ষরের ভিত্তিতে মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়। আমি জেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকার কাছে হেরেছি। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগে স্থান দেওয়ার অভিযোগও সত্য নয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শেরপুর আ.লীগের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন চন্দন
যৌন হয়রানি ও অশালীন মন্তব্যে অতিষ্ঠ নারী নেত্রীরা * মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে লজ্জাজনক হার
ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে টানা দুবার লজ্জাজনকভাবে হেরেছেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল। এছাড়া রাজাকার ও বিএনপি-জামায়াত নেতাদের টাকার বিনিময়ে কমিটিতে পদ-পদবি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
পাশাপাশি দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, সরকারি গুদামে বিভিন্ন রকম ব্যবসা, সাবরেজিস্ট্রি অফিসে চাঁদাবাজিসহ নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকারও অভিযোগ উঠেছে চন্দন কুমারের বিরুদ্ধে। সবচেয়ে ভয়াবহ অভিযোগ হচ্ছে, মহিলা আওয়ামী লীগ এবং যুব মহিলা লীগের নেত্রীদের যৌন হয়রানি ও তাদের সম্পর্কে অশালীন ভাষায় মন্তব্য করেন চন্দন কুমার পাল।
এসব বিষয়ে গত ১২ নভেম্বর দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল খালেক। অভিযোগে দাবি করা হয়, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল জেলার ৫২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নেতাসহ বিতর্কিতদের মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে জনপ্রতি ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা করে নিয়েছেন।
তাদের বেশির ভাগই নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার যারা পাননি তাদের টাকাও ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। এছাড়া রাজাকার, বিএনপি-জামায়াত নেতাদের টাকার বিনিময়ে কমিটিতে পদ-পদবিতে রাখা, দলবাজি, টেন্ডারবাজি, সরকারি গুদামে বিভিন্ন রকম ব্যবসা, সাবরেজিস্ট্রি অফিসে চাঁদাবাজিসহ নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত চন্দন কুমার পাল। এমনকি কখনো উপজেলায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণও করেন না তিনি। এতে করে ক্ষমতায় থেকেও দলকে ইমেজ সংকটে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, শেরপুরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল। এমন কোনো কাজ নেই যা তিনি করেন না এবং তার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। গত নির্বাচনে দুজন বিএনপির পদ-পদবিধারী নেতাকে নৌকার টিকিট দিয়েছেন ঘুসের বিনিময়ে। অন্যদিকে ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতাদের দল থেকে বিতাড়িত করেছেন।
এক কথায় চন্দন কুমার একাই শেরপুর আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোমর ভেঙে দিয়েছেন বলে দাবি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। চন্দন কুমারের নানা অনিয়মের কারণে বর্তমানে আওয়ামী লীগ শেরপুরে ইমেজ সংকটে রয়েছে। এ নিয়ে তার ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে কথা বলতে পারছেন না।
নলকোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, চন্দন কুমার পাল পদে বসে থেকে শেরপুর আওয়ামী লীগের কোমর ভেঙে দিয়েছেন। গত নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের বাদ দিয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের বিএনপি নেতা ওবাইদুল, ধানশাইল ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুর রহমান এনামুলকে নৌকার প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করিয়েছেন।
অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পরও তাদের আর বাদ দেওয়া হয়নি। অথচ তাদের চেনেন না এবং তারা কখনো দলীয় প্রোগ্রামে অংশ নেননি বলে ডিও দিয়েছেন শেরপুর-৩ আসনের সংসদ-সদস্য ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফজলুল হক। কিন্তু এতে কোনো কাজ হয়নি। এরা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শে বিশ্বাসী নয়। নৌকার প্রতীক ও মুজিব কোট পরে আওয়ামী লীগ সাজলেও হৃদয়ে-বুকে ধারণ করেন জিয়াউর রহমানের আদর্শ।
শেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন নাহার বলেন, চন্দন কুমার পালের জন্য নারীদের রাজনীতি করা দায় হয়ে উঠেছে। তিনি সন্ধ্যা হলে মদ খেয়ে পড়ে থাকেন, যুব মহিলা লীগ ও আওয়ামী লীগের নারী নেত্রীদের যৌন হয়রানি করেন ও অশালীন ভাষায় কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমি তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছি, আন্দোলনও করেছি, তারপরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন শুধু ভরসা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
শামসুন নাহার দাবি করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে সদ্য শেষ হওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন এবং এর আগে নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েও জামানত হারিয়েছেন। চন্দন কুমার পাল চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা ধরনের অপকর্মে জড়িত উল্লেখ করে তার হাতে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন যুব মহিলা আওয়ামী লীগের এই সভাপতি।
আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, কমিশন ও চাঁদা না পেলে সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজেও বাধা প্রদান করেন চন্দন কুমার পাল। চলতি বছরের শুরুতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছ থেকে পুরাতন লোহার ব্যবহার অযোগ্য ভাঙাচোরা মালামাল টেন্ডারের মাধ্যমে নিলামে নিয়েছেন কুষ্টিয়ার টিপু নামে এক ব্যবসায়ী।
এ পুরাতন মাল নিতে চাঁদা দাবি করেন চন্দন কুমার পাল। চাঁদা না দেওয়ার কারণে তিন মাস এসব পুরাতন মালামাল আটকে রাখেন তিনি। পরে মোটা অঙ্কের টাকা এবং একজন সাবেক মন্ত্রীর ফোন পেয়ে মালামাল ছেড়ে দেন চন্দন কুমার পাল।
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল খালেক যুগান্তরকে বলেন, চন্দন কুমার সাহেব টানা ২০ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। এর সুবিধা নিয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে তিন দফায় মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন। এ কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে টানা দুবার লজ্জাজনকভাবে হেরেছেন।
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলে দলীয় ও বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়ন বাণিজ্য করে হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমাণ টাকা। এছাড়া বিএনপি-জামায়াতের নেতা ও অযোগ্যদের টাকার বিনিময়ে দলে টেনে শেরপুর আওয়ামী লীগের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন চন্দন কুমার পাল।
জানতে চাইলে সব অভিযোগ অস্বীকার করে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল যুগান্তরকে বলেন, যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা কিছু দুষ্ট লোকের পরিকল্পিত অপবাদ। তারা আগামী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আমার পিছু লেগেছে। তা ছাড়া আমি ৩০ বছর ধরে ডায়াবেটিস রোগী, আমি কোনো নারীকে যৌন হয়রানি করিনি বা কুপ্রস্তাবও দেইনি। আমি মদও পান করি না।
তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্য কথাটি ঠিক নয়। কারণ ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের স্বাক্ষরের ভিত্তিতে মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়। আমি জেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকার কাছে হেরেছি। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগে স্থান দেওয়ার অভিযোগও সত্য নয়।
যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের ১০ বছর
সাভারে বিচারের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ
সাভারের তাজরীন ফ্যাশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ১০ বছর পূর্তিতে বৃহস্পতিবার পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। দিনটির স্মরণে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, তাজরীন ফ্যাশনের মারা যাওয়া শ্রমিকদের আত্মীয়স্বজন এবং বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা সমাবেশ করেছেন। তাজরীনকাণ্ডে দোষীদের বিচারের দাবি জানান তারা। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশন কারখানার ১১৩ শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান। এ সময় কয়েকশ শ্রমিক দগ্ধ ও আহত হন । শ্রমিক নেতারা জানান, সেদিনের দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে পারেননি আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া শ্রমিকদের আত্মীয়স্বজন ও আহত শ্রমিকরা। মারাত্মক আহতরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ ঘটনায় কেউ কেউ ক্ষতিপূরণ পেলেও অনেকেই বঞ্চিত। এখনও ক্ষতিপূরণের আশায় আছেন অনেকে। তাজরীনকাণ্ডের পর ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও দোষীদের বিচার শেষ হয়নি। নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়নি।
তাজরীনের সুইং অপারেটর রেবা খাতুন জানান, ওই দিন আগুন লাগার কিছুক্ষণ পর তিনি তিন তলা থেকে লাফ দেন। এতে তার কোমরের হাড় ভেঙে যায় ও পায়ে ব্যথা পান। এ ব্যথা নিয়ে তিনি ১০ বছর ধরে শ্রমিক নেতাসহ সব দপ্তরে ক্ষতিপূরণের জন্য ঘুরছেন। কিন্তু কারও দয়া পাননি। কত জায়গায় গেছি। শুধু বিদেশি কিছু সহায়তা ছাড়া আর কিছুই পাইনি। বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি তুহিন চৌধুরী বলেন, তাজরীনে আগুন লাগার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে শতাধিক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনার ১০ বছর পার হলেও দোষীদের শাস্তি হয়নি। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে মালিকপক্ষের অবহেলায় পোশাক শিল্পে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
বিল্পবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দু বলেন, শ্রমিকরা আরও কোনো বিচার পায়নি। গার্মেন্টস টেইলার্স ওয়ার্কাস লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম সোহাগ বলেন, তাজরীন ট্র্যাজেডির পর ভবনটি দানবের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে। এ ভবনে নতুন কোনো কারখানা অথবা হাসপাতাল বানিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান তিনি।
যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রথম টিউব উদ্বোধন কাল
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রথম টিউবের উদ্বোধন হবে কাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালি এ টিউবের উদ্বোধন করবেন।
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন এক চিঠিতে জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজ শেষ হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন।
কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত টানেলের দুটি টিউবের অপরটির বাকি কাজও ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে টিউবের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও বৈদ্যুতিক, মেকানিক্যালসহ আরও অনেক কাজ বাকি আছে। এসব কাজ শেষ করে যান চলাচলের জন্য এ টানেল প্রস্তুত হতে আগামী বছর জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে টানেল দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে।
সূত্র জানায়, চলতি মাসে এ টানেলের সামগ্রিক কাজ ৯৮ শতাংশ শেষ হয়েছে বলা যায়। দুটি টিউব তিনটি সংযোগপথের মাধ্যমে যুক্ত থাকবে। এগুলোর খননকাজও শেষ হয়েছে। দুই টিউবের অভ্যন্তরে সড়ক এবং সংযোগ সড়ক ও গোলচত্বরের নির্মাণ কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলছে টানেলের ভেতরে বৈদ্যুতিক লাইট স্থাপন, অগ্নিপ্রতিরোধক বোর্ড স্থাপন, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, পাম্প স্থাপন, টানেলের ভেতরে সাজসজ্জা ও বাতাস চলাচলের জন্য ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা চালুর কাজ।
টানেল প্রকল্পের পরিচালক হারুনুর রশীদ চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি ডিসেম্বরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই টানেলের কাজ শেষ করার। সরকারের পক্ষ থেকেও তাগাদা ছিল।
জানা গেছে, এ টানেলটি ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে। নদীর তলদেশে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল এটি। কর্ণফুলীর দুই তীরকে সংযুক্ত করে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে টানেল প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। দুই টিউব সংবলিত মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। টানেল টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং ভেতরের ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজ উদ্বোধন করেন। ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দ্বিতীয় টিউবের কাজ উদ্বোধন করেন। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। ২ শতাংশ হার সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিচ্ছে এ ব্যাংক। বাকি ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুমিল্লায় বিএনপির সমাবেশ
নগরীর আশপাশে অবস্থান হাজারো নেতাকর্মীর
কুমিল্লায় রাত পোহালেই বিএনপির গণসমাবেশ। এরই মধ্যে দলটির সাংগঠনিক এ বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক নগরীসহ আশপাশের এলাকাগুলোয় অবস্থান নিয়েছে।
অনেকে হোটেল-মোটেল ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে থাকছেন। কুমিল্লা দক্ষিণ, মহানগর ও উত্তর জেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রায় ৫০ হাজার লোকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে সমাবেশের দিন মাঠের দখল এবং নিজেদের আধিপত্য দেখাতে পাল্লা দিয়ে লোকসমাগম ঘটাচ্ছে জেলা ও মহানগর নেতারা।
বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কু এবং নিজাম উদ্দিন কায়সারও ব্যাপক শোডাউন করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। অপরদিকে মাঠের শৃঙ্খলা রক্ষায় দুদিন আগে থেকে কুমিল্লায় অবস্থান করে সবকিছু তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামীকাল কুমিল্লার টাউন হল মাঠে বিএনপির এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মাঝে প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া, মাঠ প্রস্তুত করাসহ সব কাজ সম্পন্ন করেছে দলটি। বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুসহ একদল সিনিয়র নেতা সার্বিক বিষয়গুলো তদারকি করছেন।
এ গণসমাবেশকে ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, অন্য বিভাগের মতো এখানে পরিবহণ ধর্মঘট ডাকা হয়নি। কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা না থাকায় ব্যাপক লোকসমাগমের আশা করছেন নেতাকর্মীরা।
এদিকে মূলধারার বিএনপি নেতা এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি আমিনুর রশীদ ইয়াছিন মাঠের সিংহভাগ তার সমর্থক দ্বারা দখলে রাখার চেষ্টা করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। পাল্লা দিয়ে লোকসমাগমের চেষ্টা করছেন বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার।
তবে মাঠ দখল নিয়ে যেন কোনো সংঘাত-সহিংসতা কিংবা হট্টগোলের সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখছেন সমাবেশ সফল করার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতারা। তাছাড়া কুমিল্লার বাইরে থেকে আসা অতিথি নেতাকর্মীরা যেন থাকা-খাওয়ার কোনো সমস্যায় না পড়েন, সেদিকও তদারকি করছে মহানগর বিএনপি।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, আমরা ৫০ হাজার লোকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। সমাবেশে আসা কোনো অতিথি নেতাকর্মী যেন কোনোরকম ভোগান্তির শিকার না হন, সে বিষয়টি খেয়াল রাখছি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নগরীসহ আশপাশের এলাকাগুলোয় হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান করছেন, আমরা তাদের আপ্যায়ন এবং সব সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। নেতাকর্মীরা কোন কোন এলাকায় জড়ো হয়েছেন-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পুলিশি হয়রানিসহ নানা ঝামেলা এড়াতে এই মুহূর্তে তা আমরা প্রকাশ করছি না। তবে সময় মতো কুমিল্লার টাউন হল মাঠসহ প্রতিটি সড়ক লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমার হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক সমাবেশে উপস্থিত থাকবে, সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যেই আমি এমন উদ্যোগ গ্রহন করেছি।
নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, আমার ১০ হাজার কর্মী-সমর্থক সমাবেশে যোগ দেবে, এরই মাঝে আমি তাদের আপ্যায়নসহ সবকিছু তদারকি করছি। তবে শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কোনো কাজ আমি এবং আমার কর্মী-সমর্থকরা করবে না।