নড়বড়ে অবস্থা অনুধাবন করেই সরকার উন্মাদ: মির্জা ফখরুল
jugantor
নড়বড়ে অবস্থা অনুধাবন করেই সরকার উন্মাদ: মির্জা ফখরুল

  যুগান্তর প্রতিবেদন  

২৫ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চরম কাপুরুষতা বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার নড়বড়ে অবস্থা অনুধাবন করেই আওয়ামী অবৈধ সরকার রক্ত ঝরানোর খেলায় উন্মাদ হয়ে উঠেছে। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে গিয়ে সরকার নিজ দলের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিরোধী মত ও বিশ্বাসের মানুষকে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে। অশুভ উদ্দেশ্যেই তারা এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। আর এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার নিজ দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর চালাচ্ছে নারকীয় তাণ্ডব।’ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মিসভায় যাওয়ার পথে বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের গাড়িবহরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা, কৃষক দলের সহসভাপতি আবুল বাশার আকন্দসহ আরও নেতাদের গাড়ি ভাঙচুর এবং নেতাকর্মীদের আহত করা হয়েছে। শেরপুরে নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তাদের আহত করাসহ মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এই কাপুরুষোচিত, পৈশাচিক এবং ন্যক্কারজনক হামলা ও মামলার ঘটনা অমানবিক ও নির্দয়।’

তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীদের আহত করাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘায়েল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে অবৈধ আওয়ামী সরকার। আর এজন্য বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মী কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না। শেরপুরে ৬৬ জনের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ফুলপুরে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে উলটো ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এসব ঘটনা বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর চলমান জুলুম-নির্যাতনের খণ্ডচিত্র।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার সব ক্ষেত্রে নজিরবিহীন ব্যর্থতা আড়াল করতেই সরকার দেশব্যাপী একের পর এক অমানবিক ও নৃশংস তাণ্ডব ঘটাচ্ছে। আর দেশব্যাপী নারকীয় তাণ্ডবে সরকারের সহযোগী হিসাবে সহিংস সন্ত্রাসে মেতে উঠেছে আওয়ামী দুষ্কৃতকারিরা। ক্ষমতার মোহে আওয়ামী সরকার দেশ থেকে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করার মাধ্যমে নিজেদের হিংস্র করে তুলেছে। গণতন্ত্রের মূলোৎপাটন করে সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানুষকে নির্মমভাবে স্তব্ধ করতে সরকার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু জনগণ এখন আওয়ামী সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন প্রতিরোধে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রেফতার নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

নড়বড়ে অবস্থা অনুধাবন করেই সরকার উন্মাদ: মির্জা ফখরুল

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
২৫ নভেম্বর ২০২২, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চরম কাপুরুষতা বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার নড়বড়ে অবস্থা অনুধাবন করেই আওয়ামী অবৈধ সরকার রক্ত ঝরানোর খেলায় উন্মাদ হয়ে উঠেছে। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে গিয়ে সরকার নিজ দলের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিরোধী মত ও বিশ্বাসের মানুষকে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে। অশুভ উদ্দেশ্যেই তারা এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। আর এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার নিজ দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর চালাচ্ছে নারকীয় তাণ্ডব।’ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মিসভায় যাওয়ার পথে বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের গাড়িবহরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা, কৃষক দলের সহসভাপতি আবুল বাশার আকন্দসহ আরও নেতাদের গাড়ি ভাঙচুর এবং নেতাকর্মীদের আহত করা হয়েছে। শেরপুরে নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তাদের আহত করাসহ মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এই কাপুরুষোচিত, পৈশাচিক এবং ন্যক্কারজনক হামলা ও মামলার ঘটনা অমানবিক ও নির্দয়।’

তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীদের আহত করাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘায়েল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে অবৈধ আওয়ামী সরকার। আর এজন্য বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মী কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না। শেরপুরে ৬৬ জনের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ফুলপুরে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে উলটো ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এসব ঘটনা বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর চলমান জুলুম-নির্যাতনের খণ্ডচিত্র।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার সব ক্ষেত্রে নজিরবিহীন ব্যর্থতা আড়াল করতেই সরকার দেশব্যাপী একের পর এক অমানবিক ও নৃশংস তাণ্ডব ঘটাচ্ছে। আর দেশব্যাপী নারকীয় তাণ্ডবে সরকারের সহযোগী হিসাবে সহিংস সন্ত্রাসে মেতে উঠেছে আওয়ামী দুষ্কৃতকারিরা। ক্ষমতার মোহে আওয়ামী সরকার দেশ থেকে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করার মাধ্যমে নিজেদের হিংস্র করে তুলেছে। গণতন্ত্রের মূলোৎপাটন করে সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানুষকে নির্মমভাবে স্তব্ধ করতে সরকার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু জনগণ এখন আওয়ামী সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন প্রতিরোধে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রেফতার নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের ১০ বছর

সাভারে বিচারের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

 আশুলিয়া প্রতিনিধি 
২৫ নভেম্বর ২০২২, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

সাভারের তাজরীন ফ্যাশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ১০ বছর পূর্তিতে বৃহস্পতিবার পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। দিনটির স্মরণে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, তাজরীন ফ্যাশনের মারা যাওয়া শ্রমিকদের আত্মীয়স্বজন এবং বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা সমাবেশ করেছেন। তাজরীনকাণ্ডে দোষীদের বিচারের দাবি জানান তারা। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশন কারখানার ১১৩ শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান। এ সময় কয়েকশ শ্রমিক দগ্ধ ও আহত হন । শ্রমিক নেতারা জানান, সেদিনের দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে পারেননি আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া শ্রমিকদের আত্মীয়স্বজন ও আহত শ্রমিকরা। মারাত্মক আহতরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ ঘটনায় কেউ কেউ ক্ষতিপূরণ পেলেও অনেকেই বঞ্চিত। এখনও ক্ষতিপূরণের আশায় আছেন অনেকে। তাজরীনকাণ্ডের পর ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও দোষীদের বিচার শেষ হয়নি। নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়নি।

তাজরীনের সুইং অপারেটর রেবা খাতুন জানান, ওই দিন আগুন লাগার কিছুক্ষণ পর তিনি তিন তলা থেকে লাফ দেন। এতে তার কোমরের হাড় ভেঙে যায় ও পায়ে ব্যথা পান। এ ব্যথা নিয়ে তিনি ১০ বছর ধরে শ্রমিক নেতাসহ সব দপ্তরে ক্ষতিপূরণের জন্য ঘুরছেন। কিন্তু কারও দয়া পাননি। কত জায়গায় গেছি। শুধু বিদেশি কিছু সহায়তা ছাড়া আর কিছুই পাইনি। বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি তুহিন চৌধুরী বলেন, তাজরীনে আগুন লাগার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে শতাধিক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনার ১০ বছর পার হলেও দোষীদের শাস্তি হয়নি। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে মালিকপক্ষের অবহেলায় পোশাক শিল্পে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

বিল্পবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দু বলেন, শ্রমিকরা আরও কোনো বিচার পায়নি। গার্মেন্টস টেইলার্স ওয়ার্কাস লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম সোহাগ বলেন, তাজরীন ট্র্যাজেডির পর ভবনটি দানবের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে। এ ভবনে নতুন কোনো কারখানা অথবা হাসপাতাল বানিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান তিনি।

 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রথম টিউব উদ্বোধন কাল

 চট্টগ্রাম ব্যুরো 
২৫ নভেম্বর ২০২২, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রথম টিউবের উদ্বোধন হবে কাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালি এ টিউবের উদ্বোধন করবেন।

সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন এক চিঠিতে জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজ শেষ হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন।

কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত টানেলের দুটি টিউবের অপরটির বাকি কাজও ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে টিউবের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও বৈদ্যুতিক, মেকানিক্যালসহ আরও অনেক কাজ বাকি আছে। এসব কাজ শেষ করে যান চলাচলের জন্য এ টানেল প্রস্তুত হতে আগামী বছর জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে টানেল দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে।

সূত্র জানায়, চলতি মাসে এ টানেলের সামগ্রিক কাজ ৯৮ শতাংশ শেষ হয়েছে বলা যায়। দুটি টিউব তিনটি সংযোগপথের মাধ্যমে যুক্ত থাকবে। এগুলোর খননকাজও শেষ হয়েছে। দুই টিউবের অভ্যন্তরে সড়ক এবং সংযোগ সড়ক ও গোলচত্বরের নির্মাণ কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলছে টানেলের ভেতরে বৈদ্যুতিক লাইট স্থাপন, অগ্নিপ্রতিরোধক বোর্ড স্থাপন, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, পাম্প স্থাপন, টানেলের ভেতরে সাজসজ্জা ও বাতাস চলাচলের জন্য ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা চালুর কাজ।

টানেল প্রকল্পের পরিচালক হারুনুর রশীদ চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি ডিসেম্বরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই টানেলের কাজ শেষ করার। সরকারের পক্ষ থেকেও তাগাদা ছিল।

জানা গেছে, এ টানেলটি ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে। নদীর তলদেশে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল এটি। কর্ণফুলীর দুই তীরকে সংযুক্ত করে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে টানেল প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। দুই টিউব সংবলিত মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। টানেল টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং ভেতরের ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার।

২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজ উদ্বোধন করেন। ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দ্বিতীয় টিউবের কাজ উদ্বোধন করেন। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। ২ শতাংশ হার সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিচ্ছে এ ব্যাংক। বাকি ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুমিল্লায় বিএনপির সমাবেশ

নগরীর আশপাশে অবস্থান হাজারো নেতাকর্মীর

 আবুল খায়ের, কুমিল্লা 
২৫ নভেম্বর ২০২২, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

কুমিল্লায় রাত পোহালেই বিএনপির গণসমাবেশ। এরই মধ্যে দলটির সাংগঠনিক এ বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক নগরীসহ আশপাশের এলাকাগুলোয় অবস্থান নিয়েছে।

অনেকে হোটেল-মোটেল ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে থাকছেন। কুমিল্লা দক্ষিণ, মহানগর ও উত্তর জেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রায় ৫০ হাজার লোকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে সমাবেশের দিন মাঠের দখল এবং নিজেদের আধিপত্য দেখাতে পাল্লা দিয়ে লোকসমাগম ঘটাচ্ছে জেলা ও মহানগর নেতারা।

বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কু এবং নিজাম উদ্দিন কায়সারও ব্যাপক শোডাউন করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। অপরদিকে মাঠের শৃঙ্খলা রক্ষায় দুদিন আগে থেকে কুমিল্লায় অবস্থান করে সবকিছু তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

আগামীকাল কুমিল্লার টাউন হল মাঠে বিএনপির এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মাঝে প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া, মাঠ প্রস্তুত করাসহ সব কাজ সম্পন্ন করেছে দলটি। বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুসহ একদল সিনিয়র নেতা সার্বিক বিষয়গুলো তদারকি করছেন।

এ গণসমাবেশকে ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, অন্য বিভাগের মতো এখানে পরিবহণ ধর্মঘট ডাকা হয়নি। কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা না থাকায় ব্যাপক লোকসমাগমের আশা করছেন নেতাকর্মীরা।

এদিকে মূলধারার বিএনপি নেতা এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি আমিনুর রশীদ ইয়াছিন মাঠের সিংহভাগ তার সমর্থক দ্বারা দখলে রাখার চেষ্টা করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। পাল্লা দিয়ে লোকসমাগমের চেষ্টা করছেন বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার।

তবে মাঠ দখল নিয়ে যেন কোনো সংঘাত-সহিংসতা কিংবা হট্টগোলের সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখছেন সমাবেশ সফল করার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতারা। তাছাড়া কুমিল্লার বাইরে থেকে আসা অতিথি নেতাকর্মীরা যেন থাকা-খাওয়ার কোনো সমস্যায় না পড়েন, সেদিকও তদারকি করছে মহানগর বিএনপি।

কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, আমরা ৫০ হাজার লোকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। সমাবেশে আসা কোনো অতিথি নেতাকর্মী যেন কোনোরকম ভোগান্তির শিকার না হন, সে বিষয়টি খেয়াল রাখছি।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নগরীসহ আশপাশের এলাকাগুলোয় হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান করছেন, আমরা তাদের আপ্যায়ন এবং সব সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। নেতাকর্মীরা কোন কোন এলাকায় জড়ো হয়েছেন-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পুলিশি হয়রানিসহ নানা ঝামেলা এড়াতে এই মুহূর্তে তা আমরা প্রকাশ করছি না। তবে সময় মতো কুমিল্লার টাউন হল মাঠসহ প্রতিটি সড়ক লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমার হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক সমাবেশে উপস্থিত থাকবে, সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যেই আমি এমন উদ্যোগ গ্রহন করেছি।

নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, আমার ১০ হাজার কর্মী-সমর্থক সমাবেশে যোগ দেবে, এরই মাঝে আমি তাদের আপ্যায়নসহ সবকিছু তদারকি করছি। তবে শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কোনো কাজ আমি এবং আমার কর্মী-সমর্থকরা করবে না।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
No more pages