হাবিপ্রবিতে ৫ শিক্ষককে পেটালেন চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী

 দিনাজপুর প্রতিনিধি 
১৭ নভেম্বর ২০২২, ১২:৩৭ এএম  |  অনলাইন সংস্করণ

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী কফির মগ দিয়ে আঘাত করে ও পিটিয়ে আহত করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষককে।

আহত ৫ শিক্ষককে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই কর্মচারীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ ঘটনায় ক্যাম্পাস খোলা থাকলেও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাপা ক্ষোভ ও কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় হাবিপ্রবি’র একাডেমিক ভবন-২ এর তৃতীয় তলায় ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ওই কর্মচারীর নাম তাজুল হোসেন (৪২)। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। গত ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে তিনি বিভিন্ন বিভাগে অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) পদে কর্মরত আছেন।

মারধরের ঘটনায় আহত শিক্ষকরা হলেন- হাবিপ্রবি’র ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান (৩৫), সহযোগী অধ্যাপক বেলাল হোসেন (৩৫), প্রভাষক হারুন অর রশিদ (৩০) ও নির্মল চন্দ্র রায় (৩০) এবং সদ্য নিয়োগ পেয়ে বুধবার যোগদান করতে আসা প্রভাষক মাহাবুব হোসেন।

এদের মধ্যে শিক্ষক রোকনুজ্জামানের ঠোট কেটেছে এবং বাকি ৪ শিক্ষকের মাথা ফেটেছে।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার ওই বিভাগের শিক্ষক-ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একাডেমিক শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

সবার সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে বিভাগে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু অফিস সহায়ক তাজুল ইসলাম পৌঁছাতে দেরি করছিলেন। বারবার তাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। সোয়া নয়টায় বিভাগে উপস্থিত হলে চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান তাকে দেরি করার কারণ জিজ্ঞেস করেন।

এসময় তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। উল্টো বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে টেবিলে রাখা কফির মগ দিয়ে উপস্থিত শিক্ষকদেরকে মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন ।

তাদের চিৎকারে পাশের কয়েকটি কক্ষ থেকে অন্যরা এসে তাজুলকে আটক করেন। এরপর আহত ৫ শিক্ষককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বুধবার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করে শিক্ষা সফরের জন্য এসেছিলেন মাহবুব রহমান। প্রথমদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তিনিও মারধরের শিকার হয়েছেন।

 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন