সেই রাশি মারা গেছে
‘মা আমাকে বিষ দাও, আমি আর ব্যথার যন্ত্রণা সইতে পারছি না’- এভাবেই মায়ের কাছে আকুতি জানিয়ে আসা রাশি আক্তার মারা গেছে। রোববার সে বালালী গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যায়।
সে উপজেলার বালালী গ্রামের ভ্যানচালক মোলামিন খানের মেয়ে। ২০২১ সালে বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করলেও কলেজে আর ভর্তি হতে পারেনি সে।
গত দেড় বছর ধরে তার দুটি কিডনি নষ্ট ছিল। সামান্য ভিটেমাটি ছাড়া যেটুকু জমি ও গবাদিপশু ছিল সব বিক্রি করে এতদিন চিকিৎসার খরচ চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভ্যানচালক বাবা।
এ নিয়ে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসন, এলাকার বিত্তশালী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তার চিকিৎসায় সহযোগিতার হাত বাড়ায়। এ অর্থ দিয়ে সামান্য চিকিৎসা করতে পারলেও কোনো হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারেনি। হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল পরিবারটি। উপযুক্ত চিকিৎসা করাতে না পারায় অবশেষে মেয়েটি নিজ বাড়িতে মারা গেছে।
মেয়েটির মা রিপনা বেগম বলেন, সরকার ও এলাকাবাসী যে সহযোগিতা করেছিল অল্প সময়েই তা শেষ হয়ে যায়। পরে আবারো বিভিন্ন অফিসে গিয়েছি কিন্তু কোনো সুফল পাইনি। আমাদেরও কোনো সামর্থ্য ছিল না যে তার চিকিৎসা করাব। অবশেষে মেয়েটি বিনা চিকিৎসায় মারা গেল।
মেয়েটির বাবা মোলামিন খান জানান, এ মেয়েটির জন্য আমার হালের একটি ষাঁড় ও কিছু জমি ছিল বিক্রি করেছি। মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। এর পরেও আমার মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না।
সেই রাশি মারা গেছে
মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
৩০ অক্টোবর ২০২২, ২০:০৯:১৪ | অনলাইন সংস্করণ
‘মা আমাকে বিষ দাও, আমি আর ব্যথার যন্ত্রণা সইতে পারছি না’- এভাবেই মায়ের কাছে আকুতি জানিয়ে আসা রাশি আক্তার মারা গেছে। রোববার সে বালালী গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যায়।
সে উপজেলার বালালী গ্রামের ভ্যানচালক মোলামিন খানের মেয়ে। ২০২১ সালে বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করলেও কলেজে আর ভর্তি হতে পারেনি সে।
গত দেড় বছর ধরে তার দুটি কিডনি নষ্ট ছিল। সামান্য ভিটেমাটি ছাড়া যেটুকু জমি ও গবাদিপশু ছিল সব বিক্রি করে এতদিন চিকিৎসার খরচ চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভ্যানচালক বাবা।
এ নিয়ে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসন, এলাকার বিত্তশালী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তার চিকিৎসায় সহযোগিতার হাত বাড়ায়। এ অর্থ দিয়ে সামান্য চিকিৎসা করতে পারলেও কোনো হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারেনি। হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল পরিবারটি। উপযুক্ত চিকিৎসা করাতে না পারায় অবশেষে মেয়েটি নিজ বাড়িতে মারা গেছে।
মেয়েটির মা রিপনা বেগম বলেন, সরকার ও এলাকাবাসী যে সহযোগিতা করেছিল অল্প সময়েই তা শেষ হয়ে যায়। পরে আবারো বিভিন্ন অফিসে গিয়েছি কিন্তু কোনো সুফল পাইনি। আমাদেরও কোনো সামর্থ্য ছিল না যে তার চিকিৎসা করাব। অবশেষে মেয়েটি বিনা চিকিৎসায় মারা গেল।
মেয়েটির বাবা মোলামিন খান জানান, এ মেয়েটির জন্য আমার হালের একটি ষাঁড় ও কিছু জমি ছিল বিক্রি করেছি। মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। এর পরেও আমার মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2024