বাড়ি ভাড়া বাড়ালে কী আইনি পদক্ষেপ নেবেন
ঢাকায় বাড়ি ভাড়ার ব্যয় অনেক বেশি। বেতনের অধিকাংশ টাকা চলে যায় বাড়ি ভাড়ায়। এর মধ্যেই অনেক বাড়ির মালিক অযথা কোনো কারণ ছাড়ায় এক বছর বা ছয় মাস পর পর ভাড়া বাড়িয়ে থাকেন।
ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে আপনাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করেন। এ ধরনের সমস্যায় আইনি ব্যবস্থা নিলে আপনি প্রতিকার পেতে পারেন।
কীভাবে প্রতিকার পাবেন
বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে আপনাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করলে আপনি বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ এবং ভাড়া নিয়ন্ত্রকের কাছে অভিযোগ বা আরজি দায়ের করতে পারেন।
বর্তমানে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ভাড়া নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ নিয়ন্ত্রক কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার দরখাস্তের বা আরজির শুনানি গ্রহণ করতে পারবেন।
বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১ অনুযায়ী, প্রতি দুই বছর পর বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ালেও তা হতে হবে যুক্তিসঙ্গত।
এছাড়া মাসিক ভাড়া নিয়ে কোনো লিখিত চুক্তি না থাকলে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে মানি অর্ডারযোগে বাড়িওয়ালার ঠিকানায় ভাড়া প্রেরণ করতে হবে।
যা করবেন
১. মানি অর্ডারযোগে প্রেরণ করা ভাড়ার টাকা বাড়িওয়ালা যদি গ্রহণ না করেন, পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়াকে সিনিয়র সহকারী জজের বরাবর দরখাস্ত এবং একই সঙ্গে ভাড়ার টাকাও জমা দিতে হবে
২. একজন আইনজীবীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করতে হবে
৩. ভাড়া নিয়ন্ত্রক প্রাথমিকভাবে শুনানির পর যদি সন্তুষ্ট হন যে ভাড়া প্রদানের জন্য অনুমতি দেয়া যাবে, সে ক্ষেত্রে ভাড়ার টাকা প্রতি মাসেই আদালতে জমা দেয়া যাবে
৪. আদালতে ভাড়ার টাকা জমা দিলে আইনতভাবে ভাড়াটিয়াকে ভাড়াখেলাপি বলার সুযোগ থাকবে না
৫. বাড়িওয়ালার সঙ্গে লিখিত চুক্তিতে কী কী শর্তে ভাড়া দেয়া হলো এবং করণীয় কী, সেসব নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। চুক্তিপত্রে ভাড়া বাড়ানো, অগ্রিম জমা ও কখন বাড়ি ছাড়বেন তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
৬. আর প্রতি মাসে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ভাড়ার লিখিত রসিদ সংগ্রহ করতে হবে।
লেখক: অ্যাডভোকেট আবুল হাসান, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট।
বাড়ি ভাড়া বাড়ালে কী আইনি পদক্ষেপ নেবেন
অ্যাডভোকেট আবুল হাসান
২৯ আগস্ট ২০২০, ১৫:৫৫:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকায় বাড়ি ভাড়ার ব্যয় অনেক বেশি। বেতনের অধিকাংশ টাকা চলে যায় বাড়ি ভাড়ায়। এর মধ্যেই অনেক বাড়ির মালিক অযথা কোনো কারণ ছাড়ায় এক বছর বা ছয় মাস পর পর ভাড়া বাড়িয়ে থাকেন।
ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে আপনাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করেন। এ ধরনের সমস্যায় আইনি ব্যবস্থা নিলে আপনি প্রতিকার পেতে পারেন।
কীভাবে প্রতিকার পাবেন
বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে আপনাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করলে আপনি বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ এবং ভাড়া নিয়ন্ত্রকের কাছে অভিযোগ বা আরজি দায়ের করতে পারেন।
বর্তমানে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ভাড়া নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ নিয়ন্ত্রক কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার দরখাস্তের বা আরজির শুনানি গ্রহণ করতে পারবেন।
বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১ অনুযায়ী, প্রতি দুই বছর পর বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ালেও তা হতে হবে যুক্তিসঙ্গত।
এছাড়া মাসিক ভাড়া নিয়ে কোনো লিখিত চুক্তি না থাকলে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে মানি অর্ডারযোগে বাড়িওয়ালার ঠিকানায় ভাড়া প্রেরণ করতে হবে।
যা করবেন
১. মানি অর্ডারযোগে প্রেরণ করা ভাড়ার টাকা বাড়িওয়ালা যদি গ্রহণ না করেন, পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়াকে সিনিয়র সহকারী জজের বরাবর দরখাস্ত এবং একই সঙ্গে ভাড়ার টাকাও জমা দিতে হবে
২. একজন আইনজীবীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করতে হবে
৩. ভাড়া নিয়ন্ত্রক প্রাথমিকভাবে শুনানির পর যদি সন্তুষ্ট হন যে ভাড়া প্রদানের জন্য অনুমতি দেয়া যাবে, সে ক্ষেত্রে ভাড়ার টাকা প্রতি মাসেই আদালতে জমা দেয়া যাবে
৪. আদালতে ভাড়ার টাকা জমা দিলে আইনতভাবে ভাড়াটিয়াকে ভাড়াখেলাপি বলার সুযোগ থাকবে না
৫. বাড়িওয়ালার সঙ্গে লিখিত চুক্তিতে কী কী শর্তে ভাড়া দেয়া হলো এবং করণীয় কী, সেসব নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। চুক্তিপত্রে ভাড়া বাড়ানো, অগ্রিম জমা ও কখন বাড়ি ছাড়বেন তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
৬. আর প্রতি মাসে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ভাড়ার লিখিত রসিদ সংগ্রহ করতে হবে।
লেখক: অ্যাডভোকেট আবুল হাসান, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2024