সন্তানকে ত্যাজ্য করা কি আইনসঙ্গত

 অ্যাডভোকেট আবুল হাসান 
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৪৩ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

সংসার জীবনে অনেক ধরনের টানাপোড়েন থাকে। তবে তা কখনও কখনও সন্তানের সঙ্গেও হয়ে থাকে। সন্তান অবাধ্য হলে বাবা-মায়ের মধ্যেও বিরোধ দেখা দেয়।  
আর সন্তান বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে জড়ালে অভিভাবক তাদের ত্যাজ্য করার হুমকি দেন। 

সন্তানকে ত্যাজ্য করার ঘোষণা সাধারণত মৌখিকভাবে দেয়া হয়। আবার অনেক অভিভাবক স্ট্যাম্পে লিখে বা নোটারি পাবলিক করেও সন্তানকে ত্যাজ্য ঘোষণা করেন। 

এরপর যা ঘটে তা হলো– নিকটাত্মীয় ও স্থানীয় স্বার্থান্বেষীরা ত্যাজ্য সন্তানকে তার ভাগের সম্পদ থেকে বঞ্চিত  করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে থাকে। আইন অনুযায়ী, এটি সম্পূর্ণ বেআইনি, নীতিবহির্ভূত ও গর্হিত কাজ।

তবে অনেকের প্রশ্ন হলো– সন্তানকে কি ত্যাজ্য করা যায় এবং এটি আইনসঙ্গত কিনা।

মুসলিম পারিবারিক আইন ও হিন্দু আইন অনুযায়ী, বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কটা কোনো চুক্তি নয়। এই সম্পর্ক বিবাহ, তালাক বা দাসমুক্তির মতো না। এটি চাইলেই যে কোনো সময় ভেঙে ফেলা যায় না। মনে রাখতে হবে– রক্তের সম্পর্ক কখনও মুখের কথায় পরিবর্তন করা সম্ভব নয়; এটি স্থায়ী বিষয়। 

তবে বাবা-মা চাইলে তার সম্পদ থেকে সন্তানকে বঞ্চিত করতে পারে। তবে সন্তানদের ত্যাজ্য করে নয়।

কেউ সন্তানকে ত্যাজ্য করলে তা ধর্মীয় বা রাষ্ট্রীয় কোনো নিয়মেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ এ ধরনের নীতিমালা ইসলাম ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর কোথাও লিপিবদ্ধ নেই। 

 

লেখক : আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট
 

[প্রিয় পাঠক, আপনিও দৈনিক যুগান্তর অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন-jugantorlifestyle@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।]
যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন