১৩১তম দেশ ভ্রমণে বাংলাদেশের তরুণী
হতাশার কারণে আত্মহত্যা করতে চাওয়া কাজী আসমা আজমেরী ভ্রমণ করেছেন ১৩১টি দেশ। বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ১৩১ দেশ ভ্রমণ করে তাক লাগিয়েছেন বিশ্বকে। সবশেষ গত ১১ সেপ্টেম্বর মরিশাসের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
আসমা বিশ্বের সব দেশ ঘুরতে চান। দেশের পাসপোর্ট নিয়ে তিনি বিশ্বভ্রমণ করছেন।
এই তরুণী এখন মরিশাসে অবস্থান করছেন। এ বিষয় আসমা বলেন, ছোটবেলা থেকেই মরিশাস অনেক পছন্দের একটি দেশ ছিল, যা হানিমুনে যাওয়ার কথা থাকলেও, পরে একাই রওনা হয়েছি।
আসমা মরিশাসে একাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর সবুজ পাসপোর্ট এবং ওখানকার স্কুল-কলেজে তার ভ্রমণের গল্প শোনাচ্ছেন। মোটিভেশন স্পিক দিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। ইউনিভার্সেল কলেজে প্রায় তিনটি সেশনে প্রায় আড়াইশ ছেলেমেয়ের সঙ্গে তার ভ্রমণের গল্প ও স্বপ্নবাজ হয়ে তোলার জন্য উৎসাহিত করেন।
মরিশাস সম্পর্কে এই তরুণী বলেন, ইন্ডিয়া থেকে এসে মনে হলো আরেকটি ইন্ডিয়ান কমিউনিটি। কিন্তু তারা অত্যন্ত আধুনিক ও চিন্তা-চেতনায় অনেক উন্নত একটি দেশ। এ দেশে ফ্রান্স, ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষায় কথা বলা হয়।
তিনি আরও বলেন, মরিশাস আবারও উঠে আসবে ট্যুরিজম ইউরোপ-আমেরিকার চমৎকার ডেস্টিনেশন হিসেবে। ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট রয়েছে। এক মাল্টিকালচারের অনন্য দৃষ্টান্ত। এখানে ৬০ শতাংশ হিন্দু , ২০ শতাংশ মুসলিম ও ২০ শতাংশ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করেন।
ভ্রমণপিয়াসু কাজী আসমা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি খুব দুরন্ত ছিলাম। ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছা ছিল প্রবল। সেই আকাঙ্ক্ষা থেকেই বিশ্ব ঘুরে দেখার ইচ্ছা জাগে। প্রথমে গিয়েছিলাম থাইল্যান্ড। নীল সমুদ্র দেখার পর মনে হয়েছিল, ভ্রমণের জন্য যত টাকা খরচ হয়েছে; এই সমুদ্র দেখার পর সব উঠে গেছে। এর পর নেপাল যাই। হিমালয় দেখার পর পুরো বিশ্বের সৌন্দর্য আমাকে টানতে থাকে। তখন থেকে পৃথিবীর নানা দেশে যাওয়ার ভিসা সংগ্রহের লক্ষ্যে নামি।’
পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করতেন আসমা। এতে যে টাকা জমেছে সেই টাকা দিয়েই ভ্রমণ করছেন। ‘পড়াশোনা শেষ হলে এক-দেড় বছর চাকরি করি আর ছয় মাস ভ্রমণ করি’— জানান আসমা।
তার মতে, ভ্রমণ করলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইন, নিয়মনীতি, নৈতিকতা জানা ও শেখা যায়। নিজের মধ্যে থেকে হিংসা-বিদ্বেষ চলে যায়। যারা ভ্রমণ করেন, তারা উদার মনের হয়। নিজের মধ্যে দক্ষতা তৈরি হয় ভ্রমণের মাধ্যমেই।
যারা হতাশায় ভুগেন ভ্রমণ তাদেরকে এই প্রবণতা থেকে মুক্তি দিতে পারে বলে মনে করেন আসমা আজমেরী। তিনি বলেন, যারা আত্মহত্যার মতো পথে হাঁটার চিন্তা করেন, তাদের একবার ভ্রমণের পথে হাঁটা উচিত।
১৩১তম দেশ ভ্রমণে বাংলাদেশের তরুণী
যুগান্তর প্রতিবেদন
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:৪৫:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ
হতাশার কারণে আত্মহত্যা করতে চাওয়া কাজী আসমা আজমেরী ভ্রমণ করেছেন ১৩১টি দেশ। বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ১৩১ দেশ ভ্রমণ করে তাক লাগিয়েছেন বিশ্বকে। সবশেষ গত ১১ সেপ্টেম্বর মরিশাসের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
আসমা বিশ্বের সব দেশ ঘুরতে চান। দেশের পাসপোর্ট নিয়ে তিনি বিশ্বভ্রমণ করছেন।
এই তরুণী এখন মরিশাসে অবস্থান করছেন। এ বিষয় আসমা বলেন, ছোটবেলা থেকেই মরিশাস অনেক পছন্দের একটি দেশ ছিল, যা হানিমুনে যাওয়ার কথা থাকলেও, পরে একাই রওনা হয়েছি।
আসমা মরিশাসে একাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর সবুজ পাসপোর্ট এবং ওখানকার স্কুল-কলেজে তার ভ্রমণের গল্প শোনাচ্ছেন। মোটিভেশন স্পিক দিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। ইউনিভার্সেল কলেজে প্রায় তিনটি সেশনে প্রায় আড়াইশ ছেলেমেয়ের সঙ্গে তার ভ্রমণের গল্প ও স্বপ্নবাজ হয়ে তোলার জন্য উৎসাহিত করেন।
মরিশাস সম্পর্কে এই তরুণী বলেন, ইন্ডিয়া থেকে এসে মনে হলো আরেকটি ইন্ডিয়ান কমিউনিটি। কিন্তু তারা অত্যন্ত আধুনিক ও চিন্তা-চেতনায় অনেক উন্নত একটি দেশ। এ দেশে ফ্রান্স, ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষায় কথা বলা হয়।
তিনি আরও বলেন, মরিশাস আবারও উঠে আসবে ট্যুরিজম ইউরোপ-আমেরিকার চমৎকার ডেস্টিনেশন হিসেবে। ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট রয়েছে। এক মাল্টিকালচারের অনন্য দৃষ্টান্ত। এখানে ৬০ শতাংশ হিন্দু , ২০ শতাংশ মুসলিম ও ২০ শতাংশ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করেন।
ভ্রমণপিয়াসু কাজী আসমা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি খুব দুরন্ত ছিলাম। ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছা ছিল প্রবল। সেই আকাঙ্ক্ষা থেকেই বিশ্ব ঘুরে দেখার ইচ্ছা জাগে। প্রথমে গিয়েছিলাম থাইল্যান্ড। নীল সমুদ্র দেখার পর মনে হয়েছিল, ভ্রমণের জন্য যত টাকা খরচ হয়েছে; এই সমুদ্র দেখার পর সব উঠে গেছে। এর পর নেপাল যাই। হিমালয় দেখার পর পুরো বিশ্বের সৌন্দর্য আমাকে টানতে থাকে। তখন থেকে পৃথিবীর নানা দেশে যাওয়ার ভিসা সংগ্রহের লক্ষ্যে নামি।’
পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করতেন আসমা। এতে যে টাকা জমেছে সেই টাকা দিয়েই ভ্রমণ করছেন। ‘পড়াশোনা শেষ হলে এক-দেড় বছর চাকরি করি আর ছয় মাস ভ্রমণ করি’— জানান আসমা।
তার মতে, ভ্রমণ করলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইন, নিয়মনীতি, নৈতিকতা জানা ও শেখা যায়। নিজের মধ্যে থেকে হিংসা-বিদ্বেষ চলে যায়। যারা ভ্রমণ করেন, তারা উদার মনের হয়। নিজের মধ্যে দক্ষতা তৈরি হয় ভ্রমণের মাধ্যমেই।
যারা হতাশায় ভুগেন ভ্রমণ তাদেরকে এই প্রবণতা থেকে মুক্তি দিতে পারে বলে মনে করেন আসমা আজমেরী। তিনি বলেন, যারা আত্মহত্যার মতো পথে হাঁটার চিন্তা করেন, তাদের একবার ভ্রমণের পথে হাঁটা উচিত।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2024