তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিদাররা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: বাবলা

 ডেমরা (ঢাকা) প্রতিনিধি 
১২ নভেম্বর ২০২২, ০৭:৫৪ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

বিএনপির নাম উল্লেখ না করে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেছেন, যারা রাজনীতির সভা-সমাবেশের নামে অনির্বাচিত সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছে, পক্ষান্তরে তারা দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে।তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন কোনো মানুষ তা মেনে নেবে না।

শনিবার বিকালে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নিজ নির্বাচনি এলাকা শ্যামপুর-কদমতলীর ৫২নং ওয়ার্ডে ‘সহিংস রাজনীতির প্রতিবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদার গণতান্ত্রিক, ইসলামী মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শান্তি সমাবেশের আয়োজনটি করে স্থানীয় জাতীয় পার্টি।

কদমতলী থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি শামসুজ্জামান কাজলের সভাপতিত্বে ও ডিকে সমিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেল, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, কেন্দ্রীয় নেতা সুজন দে, শেখ মাসুক রহমান, কেএম সোবহান, আকতার হোসেন দেওয়ান, কাউসার আহমেদ, শাহনাজ পারভীন, বাবুল হোসেন মিন্টু, হাসান আলী, কফিল উদ্দিন কফু, ইসমাঈল হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর ও মো. আলমগীর প্রমুখ।

সমাবেশে ঢাকা-৪ আসনের এমপি বাবলা বলেন, রাজনীতি হচ্ছে মানুষের কল্যাণের জন্য কিন্তু দেশের বর্তমান রাজনীতিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এক দল ক্ষমতায় থাকার জন্য শক্তি প্রদর্শন করে শোডাউনের রাজনীতি করছে, আর এক দল যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় আসার জন্য সহিংসতার পথ বেছে নিচ্ছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি সহিংস রাজনীতির পরিবর্তে শান্তির রাজনীতিতে বিশ্বাসী। জাতীয় পার্টি শোডাউনের রাজনীতির চেয়ে গণমানুষের শক্তিকে প্রাধান্য দেয়। 

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টি বিশ্বাস করে নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই। সাংবিধানিকভাবে যে পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই পদ্ধতিতে নির্বাচনে যাবে জাতীয় পার্টি। কোনো অনির্বাচিত সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি জাতীয় পার্টি বিশ্বাস করে না। 

বাবলা বলেন, ‘গত ২-৩ মাস ধরে রাজনৈতিক মঞ্চে শোনা যাচ্ছে খেলা হবে, খেলা হবে; কিন্তু কী নিয়ে খেলা হবে, কোন মাঠে খেলা হবে- তা কিন্তু জনগণ জানে না। তবে কেউ যদি খেলতে গিয়ে ফাউল করে জনগণ কিন্তু তাদের লাল কার্ড দেখাতে ভুল করবে না।’

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন