কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাণিজ্য মূল্যায়ন দেরিতে কেন?

 ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী 
২৪ নভেম্বর ২০২২, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একার পক্ষে সরকারের সব কর্মকাণ্ডের যথার্থ পর্যবেক্ষণ-পরীক্ষণ সম্ভব নয়।

এতসব মন্ত্রণালয়-প্রশাসনিক ব্যবস্থা-সংস্থার কার্যক্রমে শতভাগ সততা-স্বচ্ছতা-জবাবদিহির মানদণ্ড কতটুকু সমুন্নত; তার বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ অতীব জরুরি।

জনশ্রুতিমতে, খুনি মোশতাকের হিংস্র বশংবদরা শত বা হাজারে নয়; লক্ষ-কোটি সংখ্যায় দেশীয়-আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সর্বত্রই বিরাজমান। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতারণা-মিথ্যাচার-জালিয়াতি-অনৈতিক আর্থিক লেনদেন-তদবির-লবিং বাণিজ্যের আড়ালে অর্থলিপ্সু কথিত রাজনীতিকের পৃষ্ঠপোষকতায় সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রশাসনের নানা পর্যায়ে পদ-পদক-পদায়ন দখলে নিয়েছে।

এসব বর্ণচোরার অদৃশ্য ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ সচেতন মহলের বোধোদয় হলেও অজানা কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পর্যাপ্ত নজরে আসার দৃষ্টান্ত পরিলক্ষিত হচ্ছে না। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন-সমৃদ্ধির পথে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন অপকৌশল-অপপ্রচারে দেশবাসী যারপরনাই সন্দেহ-সংশয়ে দিনাতিপাত করছে। দীর্ঘ সময় এদের দেশবিরোধী অপরাধ দেখেও না দেখার ভান করার হীন মনোবৃত্তি সংহার করে অন্ধকারের শক্তিগুলোকে নির্মূলে দ্রুততম সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনিবার্য হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে দেরিতে হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বক্তব্য ও গৃহীত পদক্ষেপ জনমনে আশার সঞ্চার করেছে।

অতিসম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বক্তব্যে জানা যায়, কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো পণ্যের প্রকৃত বাজারমূল্য যথাযথভাবে যাচাই করতে ব্যর্থ হওয়ায় আমদানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মূল্যের (ওভার ইনভয়েসিং) মাধ্যমে এলসি খোলার কারণে দেশ কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের কারণে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অবৈধ হুন্ডি ব্যবসার কারণেও বৈদেশিক মুদ্রাপ্রাপ্তি বাধার সম্মুখীন, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে প্রতিফলিত হয়েছে। ওভার-আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে পণ্যের মূল্যের নামে পাঠানো অতিরিক্ত টাকা পরবর্তী সময়ে বিদেশেই আমদানিকারকের পক্ষে কেউ গ্রহণ করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এলসি খোলার ক্ষেত্রে ওভার বা আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের বিষয়ে সতর্ক থাকার পাশাপাশি শিশুখাদ্য-গম-চিনি-ডাল-ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর আমদানি যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি ব্যাংক নির্বাহীদের আহ্বান জানান। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) তথ্যানুসারে, ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মিস ইনভয়েসিং বা অস্বচ্ছ লেনদেনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৮০৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। দীর্ঘকাল ধরে এমন অভিযোগ ছিল দেশের অর্থনীতিবিদ ও বিভিন্ন গবেষণা সংস্থারও। সাম্প্রতিক ডলার সংকটের মধ্যে দেশ থেকে অর্থ পাচারের বিষয়টি নতুন করে আলোচিত হচ্ছে।

গত ১ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুসারে, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ২০২১-২২ অর্থবছরে ২০ থেকে ২০০ শতাংশ অতিরিক্ত আমদানি মূল্য দেখিয়ে অর্থ পাচারের ঘটনা শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। সংস্থাটির হিসাবমতে, গত অর্থবছরে এ ধরনের সন্দেহজনক লেনদেনের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৭১, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি। ওই সময়ে এমন লেনদেনের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২০৮। ২০১৯-২০ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছিল যথাক্রমে ৩ হাজার ৬৭৫ এবং ৩ হাজার ৫৭৩টি। পরিসংখ্যানে এটি স্পষ্ট যে, গত বছর অর্থ পাচারের ঘটনা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘ব্যাকিং চ্যানেলে এ অর্থ পাচার যে বন্ধ করা যায়, তা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন কেন বলছে? তারা তো এ টাকা পাচার বন্ধে আগেই উদ্যোগ নিতে পারত। বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও কাস্টমস এরা চাইলেই ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাচার বন্ধ হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক বাজারে কোন পণ্যের দাম কত, এটি জানতে তো এখন আর গবেষণা করার দরকার নেই। এটি এখন ওপেন। সবাই জানতে পারে। তাহলে আমদানি পণ্যের দাম বেশি দেখিয়ে বা রপ্তানি পণ্যের দাম কমিয়ে কীভাবে অর্থ পাচার করে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরে তো এর ডকুমেন্ট থাকে। পণ্য আমদানির নামে এলসি খোলে, কিন্তু সেই পণ্য আসে না। খালি কনটেইনার আসে। দেশের টাকা বাইরে চলে যায়। এগুলো কাস্টমস দেখে না?’

এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, ক্রমবর্ধমান অর্থ পাচার বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। এর সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দৃশ্যমান না হলেও পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ যে আকাশচুম্বী, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। দেশ থেকে শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানির আড়ালেও হচ্ছে টাকা পাচার। গণমাধ্যমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনা অতিমারিতে বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতির অচলায়তন সত্ত্বেও গত বছর যন্ত্রপাতি আমদানি রেকর্ড হারে বেড়েছে। কিন্তু শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি বৃদ্ধির বিপরীতে হয়নি নতুন শিল্পের প্রসার এবং শিল্পের উৎপাদনেও পড়েনি এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানির আড়ালে দেশ থেকে টাকা পাচার হচ্ছে। জিএফআই’র প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে এ ধরনের কারসাজিতে অর্থ পাচারের ঘটনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি হয়েছে ৫৭২ কোটি এবং এলসি খোলা হয়েছে ৬৪৬ কোটি ডলারের। এলসির বাকি পণ্য ছিল আমদানির অপেক্ষায়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের দাম বৃদ্ধিজনিত সংকটে উদ্যোক্তাদের এক ধরনের অনিশ্চয়তায় নতুন শিল্পোদ্যোগ বাস্তবায়ন এবং চলমান কার্যক্রমও ছিল বন্ধ। এ পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল হক গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘অনেকদিন ধরেই বলা হচ্ছে, শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির নামে দেশ থেকে টাকা পাচার হচ্ছে। যেভাবে শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি হচ্ছে, এর ইতিবাচক প্রভাব শিল্প খাতে পড়ছে না। শিল্পের সংখ্যা যেমন বাড়ছে না, তেমনই বাড়ছে না উৎপাদন ও কর্মসংস্থান। এখন আবার বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি বেড়েছে। এগুলো তদন্ত করে দেখা উচিত।’

জিএফআই’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচারকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয়। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে প্রধানত হুন্ডির মাধ্যমে হয় এ অর্থ পাচার। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করা হয়েছে। অর্থনীতি গবেষকদের দাবি, ডলার বাজারের অস্থিরতার কারণে অবৈধ হুন্ডি বেড়ে যাওয়ায় রেমিট্যান্স কমছে এবং এটি বন্ধ করতে না পারলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে যাবে।

গত ১৮ নভেম্বরের গণমাধ্যম সূত্রমতে, তৈরি পোশাকশিল্পে ব্যাক টু ব্যাক স্থানীয় এলসিতে ডলারের বিপরীতে টাকার ব্যবহার চালু হলে বছরে ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবহার কমবে। সংশ্লিষ্টদের মতে, পোশাক খাতে স্থানীয় এলসির জন্য ডলার ব্যবহার না হলে ব্যাংকগুলো বিপুল অঙ্কের ডলার ধরে রেখে অন্যান্য খাতে ব্যবহার করতে পারবে। এতে ব্যাংকে বিদ্যমান ডলার সংকট অনেকটাই লাঘব হবে। বর্তমানে প্রতিমাসে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের নিটওয়্যার বিদেশে রপ্তানির বিপরীতে ব্যাক টু ব্যাক এলসির হার প্রায় ৭৫ শতাংশ বা ১৫০ কোটি ডলার। মোট ব্যাক টু ব্যাক এলসির ৮০ শতাংশ দেশ থেকে কেনা হলেও এসব পণ্য সংগ্রহে স্থানীয় এলসি খুলতে হয় ডলারে। ফলে নিট খাতে বছরে ডলারের প্রয়োজন হচ্ছে ১ হাজার ৪৪০ কোটি বা ১৪ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। পক্ষান্তরে ওভেন পোশাক রপ্তানিতে প্রতিমাসে ১৫০ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলতে হয় ৮০ শতাংশ বা ১২০ কোটি ডলার। মোট ব্যাক টু ব্যাক এলসির গড়ে ১৫ শতাংশ পণ্য ক্রয় করা হয় দেশ থেকে। ওই হিসাবে স্থানীয় এলসি খুলতে প্রতিমাসে ১৮ কোটি ডলার করে বছরে প্রয়োজন হয় ২১৬ কোটি ডলার। এ দুই খাতে বছরে স্থানীয় এলসিতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার। যেহেতু দেশের ভেতর স্থানীয় এলসি খোলা হয়, এজন্য ডলারের পরিবর্তে টাকা ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে বিকেএমইএ। বিজ্ঞজনদের মতে, বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক পরীক্ষামূলকভাবে চালু অথবা চালুর আগে সার্ভে করে দেখতে পারে এবং বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট নীতির সঙ্গে কোনো বিরোধ হয় কি না, তা-ও দেখার প্রয়োজন রয়েছে। এ মুহূর্তে সর্বত্রই ডলার সংকট থাকায় উদ্যোগটি ভালো হলে নিঃসন্দেহে তা বাস্তবায়ন করা উচিত বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

ইতোমধ্যে অস্বাভাবিক আমদানি ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে সক্ষম হয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কমেছে আমদানি-পণ্য আমদানির ঋণপত্র বা এলসি খোলার পরিমাণ। গত ২১ নভেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পণ্য আমদানির হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা য়ায়, নানা শর্তারোপের কারণে এপ্রিল থেকে কমছে এলসি খোলার পরিমাণ। ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা গত মার্চে এলসি খুলেছিলেন রেকর্ড ৯৮০ কোটি ডলারের। এপ্রিল ও মে মাসে তা কমে হয়েছে যথাক্রমে ৮৪২ ও ৭২৮ কোটি ডলারে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এলসির পরিমাণ ছিল ৬৩৯ কোটি ডলার। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে খোলা হয় যথাক্রমে ৬৬২ ও ৬৫১ কোটি ডলারের এলসি। অক্টোবরে তা এক ধাক্কায় নেমে আসে ৪৭৪ কোটি ডলারে। নভেম্বরের ১ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত এলসি খোলা হয়েছে ১৭০ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ কম।

এছাড়া গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে ২ হাজার ৮৫৮ কোটি ডলারের এলসির বিপরীতে চলতি বছরের ওই সময়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানির এলসি খোলা হয়েছে ২ হাজার ৪২৭ কোটি ডলারের, যা ১৫ শতাংশ কম। বর্তমান অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমদানি কমাকে দেশের জন্য মঙ্গলজনক বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা। তারা জানান, এ মুহূর্তে এটারই দরকার ছিল, কারণ আমদানি কমলে ডলারের বাজারও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। দেশে বাণিজ্যিক সচ্ছলতা, চাহিদা ও সরবরাহে ভারসাম্য রক্ষা, জনদুর্ভোগ লাঘবে পরিপক্ব জ্ঞান-অভিজ্ঞতালব্ধ সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ ছাড়া কোনো দেশে টেকসই উন্নয়ন পরিপূর্ণ রূপ পরিগ্রহ করে না। সম্ভাব্য সব বৈশ্বিক দুর্যোগের অভিঘাত মোকাবিলায় সফল হওয়ার নির্ভরযোগ্য অনুষঙ্গ হচ্ছে প্রকৃত দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের সমন্বিত সঠিক তদারকি, নিরীক্ষণ ও বাজার নিয়ন্ত্রণ।

 

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : শিক্ষাবিদ; সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন