নারী দ্বারা পুরুষ উত্যক্তের শিকার হলে আইন কী বলে?
প্রকাশ্যে যৌন হয়রানি, পথেঘাটে উত্ত্যক্ত করা বা পুরুষ দ্বারা কোন নারী নিগ্রহের শিকার হলে দেশের প্রচলিত আইনে প্রতিকার রয়েছে। নারী উত্ত্যক্তকরণ যার ইংরেজি পরিভাষা ইভটিজিংয়ের জন্য অনেক বখাটের সাজা হওয়ার নজিরও দেশে বিদ্যমান। কিন্তু কোন নারী প্রকাশ্য স্থানে কোন অশ্লীল কাজ করে বা নারীর দ্বারা এডামটিজিং বা পুরুষকে মানসিক নির্যাতনের শিকার হন সেক্ষেত্রে আইনগত প্রতিকার আছে কিনা সে বিষয়ে বোধকরি দেশের বেশিরভাগ মানুষ আবগত নন।
এই আলোচনায় সে বিষয়ে কিছু আলোকপাত করার চেষ্টা করব। আসুন দেখে নেওয়া যাক নারী প্রকাশ্য স্থানে কোন অশ্লীল কাজ করে বা নারীর দ্বারা এডামটিজিং/পুরুষের মানসিক নির্যাতনের শিকার হলে কোন আইনে পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
যৌনমোড়কী (sexualization)
যে নারী শরীর দেখায় যৌন আবেদন মেখে তাকে যৌনমোড়কীকরণ বলে। যৌনমোড়কীকরণ হল পুরুষের স্বাস্থ্য বিনষ্ট করা ও পুরুষকে ধর্ষণ ফাঁদে টেনে আনা। এটা (sexualization) পুরুষ অধিকারকে মহিলারা নস্যাৎ করছে। পুরুষের অধিকার সুস্থ থাকা, যৌন সংগম করা এটা পুরুষের মানবাধিকার। একে সুরক্ষিত করুন।
যদি কোন নারী প্রকাশ্য স্থানে কোন অশ্লীল কাজ করে বা কোন নারীর দ্বারা কোন পুরুষ এডামটিজিং/যৌনমোড়কীকরণের শিকার হন এবং যার ফলে গণ উপদ্রপ সৃষ্টি হয়। তবে ভুক্তভোগী পুরুষ চাইলে নিম্নে বর্ণিত আইনের বিধান অনুযায়ী নিকটস্থ থানায় অভিযোগ করতে পারেন।
গণউপদ্রপ: ধারা ২৬৮ দন্ডবিধি
যদি কোন এমন কোন কার্য করে বা এমন কোন কার্য করা হতে বেআইনীভাবে বিরত থাকে, যার ফলে জনসাধারণের বা সাধারণভাবে নিকটবর্তী সম্পত্তির মালিক বা অধিবাসী ব্যক্তিদের কোন ক্ষতি হয়, বিপদাশঙ্ক হয় বা বিরক্তির সৃষ্টি হয়, অথবা যার ফলে যেসব ব্যক্তি কোন সাধারণ অধিকার ব্যবহার করতে যাবে, তাদের ক্ষতিসাধন, ব্যাঘাত, বিপদাশঙ্ক বা বিরক্তি সৃষ্টি হবে, সে ব্যক্তি জনসাধারণের বিরক্তি উৎপাদক কাজ সম্পাদনের ফলে অপরাধী সাব্যস্ত হবে।
অশ্লীল কার্য: ধারা ২৯৪
কোন ব্যক্তি যদি অন্যের বিরক্তি সৃষ্টি করে –
(ক) কোন প্রকাশ্য স্থানে কোন অশ্লীল কাজ করে, অথবা
(খ) কোন প্রকাশ্য স্থানে বা কোন প্রকাশ্য স্থানের সন্নিকটে কোনরূপ অশ্লীল সংগীত, গাথা বা কথা গীত করে, আবৃত্তি করে বা উচ্চারণ করে, তবে সে ব্যক্তি তিনমাস পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।
যদিও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে Find my Advocate এর গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৬০% পুরুষ কোন নারীর এরকম কর্মকান্ডে কিভাবে আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে তা জানেই না।
লেখক: মো: হায়দার তানভীরুজ্জামান
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
নারী দ্বারা পুরুষ উত্যক্তের শিকার হলে আইন কী বলে?
মো: হায়দার তানভীরুজ্জামান, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
২৩ নভেম্বর ২০২২, ১৪:৩৭:২০ | অনলাইন সংস্করণ
প্রকাশ্যে যৌন হয়রানি, পথেঘাটে উত্ত্যক্ত করা বা পুরুষ দ্বারা কোন নারী নিগ্রহের শিকার হলে দেশের প্রচলিত আইনে প্রতিকার রয়েছে। নারী উত্ত্যক্তকরণ যার ইংরেজি পরিভাষা ইভটিজিংয়ের জন্য অনেক বখাটের সাজা হওয়ার নজিরও দেশে বিদ্যমান। কিন্তু কোন নারী প্রকাশ্য স্থানে কোন অশ্লীল কাজ করে বা নারীর দ্বারা এডামটিজিং বা পুরুষকে মানসিক নির্যাতনের শিকার হন সেক্ষেত্রে আইনগত প্রতিকার আছে কিনা সে বিষয়ে বোধকরি দেশের বেশিরভাগ মানুষ আবগত নন।
এই আলোচনায় সে বিষয়ে কিছু আলোকপাত করার চেষ্টা করব। আসুন দেখে নেওয়া যাক নারী প্রকাশ্য স্থানে কোন অশ্লীল কাজ করে বা নারীর দ্বারা এডামটিজিং/পুরুষের মানসিক নির্যাতনের শিকার হলে কোন আইনে পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
যৌনমোড়কী (sexualization)
যে নারী শরীর দেখায় যৌন আবেদন মেখে তাকে যৌনমোড়কীকরণ বলে। যৌনমোড়কীকরণ হল পুরুষের স্বাস্থ্য বিনষ্ট করা ও পুরুষকে ধর্ষণ ফাঁদে টেনে আনা। এটা (sexualization) পুরুষ অধিকারকে মহিলারা নস্যাৎ করছে। পুরুষের অধিকার সুস্থ থাকা, যৌন সংগম করা এটা পুরুষের মানবাধিকার। একে সুরক্ষিত করুন।
যদি কোন নারী প্রকাশ্য স্থানে কোন অশ্লীল কাজ করে বা কোন নারীর দ্বারা কোন পুরুষ এডামটিজিং/যৌনমোড়কীকরণের শিকার হন এবং যার ফলে গণ উপদ্রপ সৃষ্টি হয়। তবে ভুক্তভোগী পুরুষ চাইলে নিম্নে বর্ণিত আইনের বিধান অনুযায়ী নিকটস্থ থানায় অভিযোগ করতে পারেন।
গণউপদ্রপ: ধারা ২৬৮ দন্ডবিধি
যদি কোন এমন কোন কার্য করে বা এমন কোন কার্য করা হতে বেআইনীভাবে বিরত থাকে, যার ফলে জনসাধারণের বা সাধারণভাবে নিকটবর্তী সম্পত্তির মালিক বা অধিবাসী ব্যক্তিদের কোন ক্ষতি হয়, বিপদাশঙ্ক হয় বা বিরক্তির সৃষ্টি হয়, অথবা যার ফলে যেসব ব্যক্তি কোন সাধারণ অধিকার ব্যবহার করতে যাবে, তাদের ক্ষতিসাধন, ব্যাঘাত, বিপদাশঙ্ক বা বিরক্তি সৃষ্টি হবে, সে ব্যক্তি জনসাধারণের বিরক্তি উৎপাদক কাজ সম্পাদনের ফলে অপরাধী সাব্যস্ত হবে।
অশ্লীল কার্য: ধারা ২৯৪
কোন ব্যক্তি যদি অন্যের বিরক্তি সৃষ্টি করে –
(ক) কোন প্রকাশ্য স্থানে কোন অশ্লীল কাজ করে, অথবা
(খ) কোন প্রকাশ্য স্থানে বা কোন প্রকাশ্য স্থানের সন্নিকটে কোনরূপ অশ্লীল সংগীত, গাথা বা কথা গীত করে, আবৃত্তি করে বা উচ্চারণ করে, তবে সে ব্যক্তি তিনমাস পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।
যদিও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে Find my Advocate এর গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৬০% পুরুষ কোন নারীর এরকম কর্মকান্ডে কিভাবে আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে তা জানেই না।
লেখক: মো: হায়দার তানভীরুজ্জামান
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023